জীবনযাপন

মা–বাবা মানে শুধু একটি সামাজিক পরিচয় নয়, এটি একটি দায়িত্ব, একটি সম্পর্ক, জীবনভর চলতে শেখার যাত্রা। সন্তানের চোখে মা–বাবা মানে নির্ভরতা, শক্তি আর ভালোবাসার সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য উৎস।

বর্তমান জীবনে প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে গিয়ে আমাদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রা হয়ে উঠেছে অনেকটাই বসে বসে চলার মতো। দিনের বেশিরভাগ সময় কেটে যায় ডেস্কে, সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে টিভি বা মোবাইলের সামনে, সঙ্গে পছন্দের ফাস্টফুড। শারীরিক পরিশ্রম কম, মানসিক চাপ বেশি—এই দুয়ের মিশ্রণে আমাদের শরীর একসময় বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। বিশেষ করে স্ট্রেস হরমোন বেড়ে যাওয়ার কারণে শর্করার প্রতি আসক্তি বাড়ে, যার ফলাফল বাড়তি ওজন।

যেকোনো সম্পর্কের মূল ভিত্তি ভালোবাসা। তবে একটি সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী ও সুন্দর রাখতে কিন্তু কেবল ভালোবাসাই যথেষ্ট নয়। এর জন্য দরকার উভয়ের নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ। এ যোগাযোগ গড়ে ওঠে যত্ন, মনোযোগ ও দৈনন্দিন কিছু ছোট অভ্যাসের মধ্য দিয়ে। এ ক্ষেত্রে দিনের শুরু, অর্থাৎ সকালবেলা খুব গুরুত্বপূর্ণ। এ সময়ের ছোট্ট কোনো আচরণ, উষ্ণ কিছু বাক্য গভীর ভালোবাসার ভিত তৈরি করতে পারে। সুখী ও সফল দম্পতিদের দৈনন্দিন জীবনযাপন বিশ্লেষণ করে মনোবিদ ও সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা এমন চারটি অভ্যাসের কথা তুলে ধরেছেন।

বর্ষাকাল এলে অনেক বাড়ির মালিকের কপালেই চিন্তার ভাঁজ পড়ে। কারণ, সুন্দর করে সাজানো দেয়ালের দিকে তাকানো যায় না। আবহাওয়া পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বদলে যায় দেয়ালের চেহারা। ঘরের দেয়ালে জোরালো হয় ড্যাম্প। কিন্তু কী এই ড্যাম্প? বর্ষাকাল এলেই কেন এটা বেড়ে যায়? ঘরের দেয়ালকে সুন্দর ও মানানসই রাখতে কীভাবে প্রতিরোধ করা যায় ড্যাম্প?

ছোট ঘরের প্রতি ইঞ্চি জায়গাই গুরুত্বপূর্ণ। একটু বাড়তি জায়গা মানেই বাড়তি সুবিধা। তাই ফ্রিজের ওপর কিছু জিনিস রেখে জায়গা বাঁচানো অনেকের অভ্যাস। কিন্তু নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা বলছেন, এই অভ্যাস হতে পারে বিপজ্জনক।

সকালের নাশতার পর অনেকেরই কফি খাওয়ার অভ্যাস আছে। কেউ কেউ দিনে কয়েক কাপ পর্যন্ত কফি খান। কফির কড়া গন্ধ নিমিষেই শরীর চাঙ্গা করে তুলতে পারে। শরীরের ক্লান্তি কাটাতে, তাৎক্ষণিক শক্তি জোগাতে কফির তুলনা নেই।

ওজন নিয়ন্ত্রণে না রাখলে শরীরে বাসা বাঁধতে পারে একাধিক সমস্যা। ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল, উচ্চ রক্তচাপ থেকে শুরু করে হার্টের রোগ পর্যন্ত। তাই সুস্থ থাকতে ওজন স্বাভাবিক রাখা খুবই জরুরি। এই কারণেই অনেকে ব্যায়াম করেন, কেউ নিয়ম মেনে খাদ্যাভাস অনুসরণ করেন।

একটা সময় ছিল, যখন অভিভাবকের সঙ্গে সন্তানের সম্পর্কটা ছিল ভয়ের, বিশেষ করে বাবার সঙ্গে। তবে সেই সময় বেশির ভাগ শিশু বেড়ে উঠত এক বৃহৎ পারিবারিক পরিসরে। সময় বদলেছে। এ যুগের শিশু অনেকটাই ‘একা’। বাড়ির বাইরে শিশুকে স্বাধীনভাবে খেলতে দিতেও অনেক অভিভাবক অনিরাপদ বোধ করেন। শিশুর নিরাপদ আশ্রয় কেবল তার পরিবার। ভরসার জায়গা কেবল তার মা-বাবা আর নিকটাত্মীয়রাই।

শরীরে ডায়াবেটিস থাকলে অন্যান্য রোগও মাথাছাড়া দিয়ে উঠে। তাই ডায়াবেটিসকে সব সময় নিয়ন্ত্রণে রাখতে হয়। প্রতিদিন কখন, কোন খাবারটি কিভাবে খাচ্ছেন, সেসব কিছুর ওপর নির্ভর করে রক্তে শর্করার মাত্রা কত দ্রুত বাড়ছে বা কমছে। কারণ, একজন ডায়াবেটিক রোগীর জন্য হঠাৎ রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়া বা কমে যাওয়া—উভয়ই ক্ষতিকর হতে পারে।

জীবনের প্রথম চাকরি, প্রথম বেতন পাওয়ার অনুভূতি নিশ্চয়ই অনন্য। জীবনের এই নতুন অধ্যায় শুরু করার সময় অনেকেই নিজের সুপ্ত ইচ্ছাগুলো পূরণে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। কেউ দামি গ্যাজেট বা অনুষঙ্গ কেনেন, কেউ বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে যান কিংবা পরিবারের সদস্যদের দেন দামি উপহার। এসব তো করবেনই। তবে পেশাজীবনের শুরু থেকেই লাগামহীন টাকা খরচের অভ্যাস কিন্তু বুদ্ধিমানের কাজ নয়। আর্থিকভাবে সচেতন হলে ভবিষ্যতের জন্য মজবুত ভিত গড়তে পারবেন আপনার প্রথম বেতন দিয়েই। আর এর জন্য প্রয়োজন বেতনের টাকা সঞ্চয় ও বিনিয়োগকৌশল নিয়ে সঠিক পরিকল্পনা।

সুস্বাদু ও নরম মাংস রান্না করতে অনেকেই আগে থেকে লবণ-মসলা মাখিয়ে রাখেন, যাকে বলা হয় ম্যারিনেশন। এর মাধ্যমে মাংসের ভেতরে মসলা ভালোভাবে ঢোকে এবং স্বাদ বেড়ে যায়। তবে ম্যারিনেশন শুধুই স্বাদের জন্য নয়, এর পেছনে রয়েছে বৈজ্ঞানিক কারণও।

বর্ষাকালে চামড়ার ব্যাগ, জুতা, বেল্টসহ বিভিন্ন পণ্য সহজেই নষ্ট হয়ে যেতে পারে। সঠিকভাবে যত্ন না নিলে এগুলো ভিজে ছত্রাক পড়া, ভাঁজ পড়া কিংবা ফাটল ধরার আশঙ্কা থাকে। তবে কিছু সাধারণ নিয়ম মেনে চললেই চামড়ার পণ্যগুলো অনেক বছর সুন্দর এবং টেকসই রাখা সম্ভব।