
কক্সবাজারের সুগন্ধা সৈকতের সিগাল পয়েন্টে ধারণ করা এক ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে, যেখানে দেখা যায়—এক তরুণ সমুদ্রসৈকত থেকে উড়ন্ত উড়োজাহাজ লক্ষ্য করে পা দিয়ে ছুড়ে মারছেন একটি ফুটবল। ভিডিওটি মাত্র ১৪ সেকেন্ডের হলেও তা ঘিরে রীতিমতো বিতর্ক শুরু হয়েছে নেট দুনিয়ায়।
ভিডিও দেখে অনুমান করা যায়, বলটি উড়োজাহাজের অনেক নিচে থেকেই ছোঁড়া হয়েছে এবং উড়োজাহাজের নাগালের অনেক আগেই নিচে পড়ে যায়। কিন্তু তারপরও ভিডিওটি ঘিরে জনমনে উদ্বেগ ও সমালোচনা দেখা দিয়েছে। কেউ কেউ কক্সবাজার সৈকতে ফুটবল খেলা নিষিদ্ধ করার পক্ষে মত দিয়েছেন। একজন লিখেছেন, "সৈকত ঘুরতে যাওয়ার জায়গা, খেলার মাঠ নয়। ছোট বাচ্চাদের নিয়ে যারা আসেন, তাদের জন্য এটি ঝুঁকিপূর্ণ।" অন্য একজন আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, “ফুটবলটি যদি উড়োজাহাজে লাগত, বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারত।”
তবে অনেকে বিষয়টিকে অতিরিক্ত বাড়িয়ে দেখার বিরোধিতা করেছেন। এক ব্যবহারকারী মন্তব্য করেন, “বিমান থাকে কয়েকশ ফুট ওপরে, আর বল যেতেই পারে সর্বোচ্চ ৫০ ফুট পর্যন্ত।” আরেকজন বলেন, “যারা বলছে দুর্ঘটনা ঘটতে পারত, তারা হয়তো বাস্তবে কক্সবাজারে আসেনি।”
এ নিয়ে কক্সবাজার বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক গোলাম মোর্তজা জানান, উড্ডয়নকালে বিমান সাধারণত সৈকতের আকাশপথে ১ হাজার ৪০০ মিটার উচ্চতায় থাকে এবং অবতরণের সময় প্রায় ১ হাজার মিটার উপর দিয়ে আসে। ফলে সৈকত থেকে ছুড়ে মারা একটি ফুটবলের পক্ষে উড়োজাহাজ পর্যন্ত পৌঁছানো সম্ভব নয়। তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, “উড়ন্ত উড়োজাহাজ লক্ষ্য করে কিছু ছোড়া যেমন অনুচিত, তেমনি সৈকত এলাকায় ড্রোন ওড়ানো, আতশবাজি ছোড়ার মতো কাজও নিষিদ্ধ।”
ঘটনাটি উড়োজাহাজে কোনো সরাসরি ক্ষতি না করলেও, সচেতনতার দৃষ্টিকোণ থেকে এটি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। জনসাধারণকে আরও দায়িত্বশীল আচরণের আহ্বান জানাচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা।