
ফ্রিজ এখন আর বিলাসিতা নয়, প্রয়োজন। ঘরের প্রতিদিনের রান্না-বান্না আর খাবার সংরক্ষণের অন্যতম ভরসা হয়ে উঠেছে ফ্রিজ। কিন্তু অনেকেই জানেন না, এই প্রয়োজনীয় যন্ত্রটি ব্যবহারে কিছু নিয়ম না মানলে খাবার নষ্ট হয়ে যেতে পারে, এমনকি ফ্রিজের কর্মক্ষমতাও কমে যেতে পারে।
আমরা সাধারণত জানি—ফ্রিজে গরম খাবার রাখা যাবে না, দরজা দীর্ঘ সময় খোলা রাখা যাবে না, খাবার ঢেকে রাখা জরুরি। তবে এ ছাড়া আরও কিছু ভুল রয়েছে, যেগুলো অজান্তেই অনেকেই করে থাকেন। নিচে তেমনই পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দেওয়া হলো, যা মেনে চললে ফ্রিজে খাবার দীর্ঘদিন ভালো থাকে:
১. সঠিক তাপমাত্রা বজায় রাখুন:
অনেকেই ভাবেন ফ্রিজ যত ঠান্ডা হবে, খাবার তত ভালো থাকবে। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, ফ্রিজের মূল অংশে তাপমাত্রা ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে রাখা সবচেয়ে উপযুক্ত। খুব কম তাপমাত্রায় কিছু খাবারের পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
২. সবজি বাছাইয়ে সচেতন হোন:
সব ধরনের সবজি ফ্রিজে রাখা উচিত নয়। আলু, পেঁয়াজ, রসুন ফ্রিজে রাখলে এগুলোর স্বাদ ও গুণমান হারিয়ে যায়। বর্ষাকাল বা অতিরিক্ত গরম না পড়লে টমেটোও ঘরের তাপমাত্রায় রাখাই ভালো।
৩. অতিরিক্ত খাবার ও পাত্রে ঠাসাঠাসি নয়:
ফ্রিজে বেশি খাবার বা কৌটো রাখলে দরকারি জিনিস খুঁজে পেতে সমস্যা হয়। খাবারের কণা উপচে পড়ে জীবাণু তৈরি করতে পারে। এতে ফ্রিজে দুর্গন্ধ ছড়ায় এবং খাবার দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়।
৪. নিয়মিত পরিষ্কার করুন:
ফ্রিজে জমে থাকা পুরোনো খাবার বা খোলা পাত্র থেকে ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে পারে। তাই অন্তত প্রতি সপ্তাহে একবার ফ্রিজ পরিষ্কার করা জরুরি। এতে দুর্গন্ধও দূর হয় এবং ফ্রিজ থাকে জীবাণুমুক্ত।
৫. প্যাকেটজাত খাবারে সতর্কতা:
অনেকেই বাজার থেকে আনা প্যাকেটজাত খাবার সরাসরি ফ্রিজে রেখে দেন। এটি ভুল। আগে মেয়াদ ও সংরক্ষণ নির্দেশনা দেখে তবেই ফ্রিজে রাখুন। সব প্যাকেটজাত খাবার ফ্রিজে রাখা উপযুক্ত নয়।
ফ্রিজশুধু খাবার ঠান্ডা রাখার যন্ত্র নয়, বরং এটি একটি বিজ্ঞানসম্মত খাদ্য সংরক্ষণের মাধ্যম। ভুল ব্যবহারে যেমন স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ে, তেমনি অপচয়ও হয়। সঠিক নিয়ম জানলে ফ্রিজ থেকে সর্বোচ্চ উপকার পাওয়া সম্ভব।
এই নিয়মগুলো মানছেন তো?