
জার্মানির নতুন চ্যান্সেলর ফ্রেডরিখ মেৎস দায়িত্ব নেওয়ার পরই জানিয়ে দিলেন, তিনি হবেন একজন “পাকা ইউরোপীয়” নেতা। পার্লামেন্টে নির্বাচিত হওয়ার পর মেৎস বলেন, “আমি ইউরোপীয় পার্লামেন্টে কাজ করেছি, যা আমাকে আজও গভীরভাবে প্রভাবিত করে।” এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে তিনি ইউরোপের প্রতি নিজের অঙ্গীকার ও ভবিষ্যৎ নেতৃত্বের রূপরেখা স্পষ্ট করলেন।
দায়িত্ব নেওয়ার প্রথম পূর্ণ কর্মদিবসেই তিনি সফরে যাচ্ছেন ফ্রান্স ও পোল্যান্ডে—উদ্দেশ্য, ইউরোপীয় প্রতিবেশীদের সঙ্গে সম্পর্ক আরও দৃঢ় করা। এই সময় ইউরোপ একদিকে রাশিয়ার আগ্রাসী অবস্থান, অন্যদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নীতি পরিবর্তনের মুখে ঐক্য ধরে রাখার চ্যালেঞ্জে পড়েছে। এর মধ্যেই মেৎসের নেতৃত্বে সক্রিয় ভূমিকার প্রত্যাশা করছেন ইউরোপীয় নেতারা।
শান্তি আলোচনায় জার্মানির ভূমিকা নিয়ে মেৎস বলেন, বার্লিন, প্যারিস ও লন্ডনের একটি পরীক্ষিত সহযোগিতা কাঠামো রয়েছে, এবং তিনি চান পোল্যান্ডকেও এতে যুক্ত করতে। ইউক্রেন সংকট এবং অভিবাসন ইস্যুতেও তিনি ইউরোপীয় প্রতিবেশীদের মতামত গুরুত্ব দিয়ে দেখার প্রতিশ্রুতি দেন। তাঁর ভাষায়, “আমরা একটি সমন্বিত ইউরোপীয় নীতি গড়ে তুলতে চাই।”
এই ঘোষণাগুলো জার্মানির নতুন নেতৃত্বের মাধ্যমে ইউরোপের কণ্ঠস্বরকে আবার সক্রিয় ও দৃঢ়ভাবে ফিরে আনার ইঙ্গিত বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।