
ঘর গোছাতে র্যাক এখন এক জরুরি অনুষঙ্গ। অল্প জায়গায় নানা জিনিস সংরক্ষণের সুবিধায় র্যাকের ব্যবহার যেমন বাড়ছে, তেমনি এর বহুমুখীতা বাড়াচ্ছে জনপ্রিয়তা। বিশেষ করে প্লাস্টিকের র্যাক এখন সবচেয়ে চাহিদাসম্পন্ন। কারণ, এগুলো হালকা, সহজে সরানো যায়, পরিষ্কার করাও সহজ এবং দামে সাশ্রয়ী। বাজারে বিভিন্ন ডিজাইন, রঙ ও মাপের প্লাস্টিক র্যাক সহজেই পাওয়া যাচ্ছে, যা ঘরের সৌন্দর্য বাড়াতেও কার্যকর।
ঢাকার মিরপুর ও প্রগতি সরণির সুপারশপ ও ক্রোকারিজ দোকানগুলোতে প্লাস্টিক, কাঠ ও ধাতুর নানা ধরনের র্যাক বিক্রি হচ্ছে। এর মধ্যে কিছু ভাঁজযোগ্যও। আরএফএল হাউজওয়্যার, আকিজ প্লাস্টিক, বেঙ্গল প্লাস্টিক, টেল প্লাস্টিক ও এসিআই প্রিমিও—এই কোম্পানিগুলোর র্যাকগুলোই বেশি চলছে। ব্যবহারকারীর চাহিদা অনুযায়ী ঘরের ধরনভেদে র্যাকের ডিজাইনেও এসেছে বৈচিত্র্য।
ব্যাচেলরদের জন্য বই ও কাপড় রাখার র্যাক যেমন পাওয়া যাচ্ছে, তেমনি শিশুদের ঘরে খেলনা রাখার জন্য বা বাথরুমে প্রসাধনী রাখার জন্যও আছে আলাদা র্যাক। রান্নাঘরের জন্য বাজারে রয়েছে নানা আকার ও সাইজের কিচেন র্যাক—যাতে মসলা থেকে বাসন, সবই রাখা যায়। এসব র্যাকের কিছু জনপ্রিয় মডেল হলো আরএফএলের ২৪ ইঞ্চি কিচেন র্যাক, বেঙ্গলের লিলি র্যাক, টেল প্লাস্টিকের ফেমাস র্যাক ও ক্রাউন র্যাক।
দামেও রয়েছে বৈচিত্র্য। আরএফএলের র্যাক ২৬০ টাকা থেকে শুরু হয়ে ২,৩০০ টাকা পর্যন্ত পাওয়া যায়। বেঙ্গল এলিগেন্ট র্যাক ৬৫০ টাকা, আকিজের ডিশ র্যাক ৪০০ থেকে ১,১০০ টাকা, আর মাল্টিপারপাস র্যাক ৯৯৯ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
প্লাস্টিক র্যাক এখন কেবল প্রয়োজন মেটায় না, বরং ঘরের নান্দনিক ব্যবস্থাপনাতেও অবদান রাখছে। তাই সহজলভ্যতা, বহুমুখীতা ও সাশ্রয়ী দামের কারণে এর জনপ্রিয়তা দিন দিন বেড়েই চলেছে।