ঢাকা   সোমবার ০৪ আগস্ট ২০২৫, ২০ শ্রাবণ ১৪৩২

এখনকার ফ্রিজ মানেই স্টাইল আর স্মার্টনেস

এখনকার ফ্রিজ মানেই স্টাইল আর স্মার্টনেস

ফ্রিজ এখন আর শুধু প্রয়োজনীয় এক যন্ত্রই নয়, আধুনিক অন্দরসজ্জারও এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। অন্দরের যে অংশেই ফ্রিজ রাখা হোক, সেটা হয়ে ওঠে ওই জায়গার সৌন্দর্যের অংশ। এই দিকটা মাথায় না রেখে ফ্রিজ কিনলে তাতে আপনার প্রয়োজন হয়তো মিটবে, তবে আধুনিক অন্দরে তা মানানসই না-ও হতে পারে।

ভুলভাবে বাছাই করা একটি ফ্রিজ ঘরের জন্য হয়ে উঠতে পারে দৃষ্টিকটু। আধুনিক অন্দরসজ্জায় নিরপেক্ষ ধাঁচের বিভিন্ন রং ব্যবহার করা হয়ে থাকে। খুব উজ্জ্বল রঙের কিংবা বেশ কারুকাজ করা ফ্রিজ হয়তো শোরুমে দৃষ্টিনন্দন; কিন্তু আপনার বাড়ির অন্দরসজ্জা যদি আধুনিক ধারায় করে থাকেন, তাহলে বাড়িতে আনার পর সেই ফ্রিজ আর সুন্দর দেখাবে না।

কেমন হতে পারে এ যুগের ধারায় সাজানো অন্দরের উপযোগী ফ্রিজ, সৃষ্টি আর্কিটেকচার অ্যান্ড কনসালট্যান্সির প্রতিষ্ঠাতা স্থপতি তাসনিম তূর্যির কাছ থেকে জেনে নেওয়া যাক।

জায়গা বুঝে ফ্রিজ

খুব ছোট ঘরে বিশাল ফ্রিজ সুন্দর দেখায় না। তাই এমন আকারের ফ্রিজ বেছে নেওয়া উচিত, যাতে চোখে পড়ার মতো বৈসাদৃশ্য তৈরি হবে না। হয়তো ডাবল ডোরের চমৎকার একটা ফ্রিজ পছন্দ করলেন, কিন্তু যেখানে ফ্রিজ রাখবেন, সেখানে জায়গা খুব কম। সে ক্ষেত্রে কিন্তু অন্দরের সৌন্দর্যের ভারসাম্য নষ্ট হবে। অনেক বাড়িতেই ফ্রিজ রাখা হয় খাবার ঘরে, কেউ আবার রান্নাঘর কিংবা লবিতে ফ্রিজ রাখেন।

ডিনার ওয়াগন কিংবা কিচেন ক্যাবিনেটের পাশের একটা অংশে ফ্রিজ রাখার চল রয়েছে, যাতে দেখে মনে হয়, ফ্রিজটা ওই আসবাবের সঙ্গেই মানানসইভাবে ‘সেট’ হয়ে আছে। কতজনের জন্য ফ্রিজটা ব্যবহার করা হবে, কোথায় কীভাবে ফ্রিজ রাখবেন, সেসব ভাবনা মাথায় রেখেই ফ্রিজ বাছাই করা প্রয়োজন।

রঙে, নকশায় ফ্রিজ

আধুনিক অন্দরসজ্জায় ধূসর কিংবা কালো রঙের ফ্রিজ বেশ মানায়। হালকা নীল আর ধূসরের মাঝামাঝি একটা শেডও দারুণ। রংটা ম্যাট হতে পারে, আবার গ্লসিও হতে পারে। তবে রঙের শেডটাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ফ্রিজের গায়ে খুব বেশি কারুকাজ আধুনিক অন্দরে মানানসই না। তবে কারুকাজ করা ফ্রিজে আগ্রহ থাকলে হালকা নকশা বাছাই করাই ভালো। চাইলে ফ্রিজ ম্যাগনেট ব্যবহার করে বৈচিত্র্য আনতে পারেন।

কী খুঁজছেন ক্রেতা?

ওয়ালটন রেফ্রিজারেটরের চিফ বিজনেস অফিসার তাহসিনুল হক জানালেন, ক্রেতাদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে বিভিন্ন ধরনের ফ্রিজ বাজারে এনেছেন তাঁরা। ছোট-বড় নানান আকারের ফ্রিজ তাঁদের রয়েছে।

এসব ফ্রিজের ধারণক্ষমতা ৫০ লিটার থেকে ৬৬০ লিটার পর্যন্ত। তাঁদের ফ্রিজে চারটি পর্যন্ত দরজার ব্যবস্থা আছে। ফ্রিজের দুই অংশেই সমান জায়গা, এমন ফ্রিজও রয়েছে তাঁদের কাছে। আছে সাইড বাই সাইড ধারার ফ্রিজ। এ ধরনের ফ্রিজের এক পাশ ডিপ ফ্রিজের কাজ করে, অন্য পাশ রেফ্রিজারেটরের কাজ করে। ইনভার্টার প্রযুক্তিকে সবার জন্য সহজলভ্য করে তুলেছেন তাঁরা।

এ ছাড়া ফ্রিজভেদে আরও নানা ধরনের সুবিধা তাঁদের রয়েছে। ফ্রিজের দরজার নকশা নিয়েও নিরন্তর কাজ করে চলেছে তাঁদের বিশেষজ্ঞ দল। ক্রেতার চাহিদা এবং সামর্থ্যের কথা মাথায় রেখেই নানান ধরনের ফ্রিজ বাজারে এনেছে ওয়ালটন। বিশাল সেই আয়োজন থেকে পছন্দসই ফ্রিজ কিনছেন ক্রেতারা।