
দীর্ঘ চার মাস পর উন্নত চিকিৎসা শেষে আজ মঙ্গলবার যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফিরছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এই বিশেষ মুহূর্তকে কেন্দ্র করে তাঁকে অভ্যর্থনা জানাতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে বিএনপি। বিমানবন্দর থেকে গুলশানের বাসভবন ‘ফিরোজা’ পর্যন্ত পথজুড়ে বিভিন্ন অঙ্গ-সংগঠন ও নেতাকর্মীরা তাঁকে স্বাগত জানাবেন। তবে জনভোগান্তি এড়াতে এবং এসএসসি পরীক্ষার্থীদের কথা বিবেচনায় সড়কে নয়, বরং ফুটপাতে অবস্থান নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
খালেদা জিয়াকে বহনকারী কাতারের রাজপরিবারের একটি বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স দোহা হয়ে আজ সকাল সাড়ে ১০টায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে। তাঁর সঙ্গে দেশে ফিরছেন দুই পুত্রবধূ—জুবাইদা রহমান ও সৈয়দা শামিলা রহমান। তাঁরা বিমানবন্দর থেকে সরাসরি গুলশানের বাসভবনে যাবেন।
বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি থেকে শুরু করে মহিলা দল, কৃষক দল, যুবদল, ছাত্রদলসহ বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন নির্দিষ্ট পয়েন্টে অবস্থান নিয়ে অভ্যর্থনা জানাবে। তবে মোটরসাইকেল বহর, পেছনে হাঁটা কিংবা রাস্তা দখল করে অবস্থান নেওয়া যাবে না। ব্যাগ, লাঠি, ব্যানারসহ অন্য কোনো সামগ্রী বহনের ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
এদিকে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) সাধারণ জনগণের চলাচলে বিঘ্ন না ঘটাতে কিছু নির্দেশনা জারি করেছে। তারা পরামর্শ দিয়েছে, আজ সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত গুলশান, বনানী ও উত্তরা এলাকার সড়ক পরিহার করে বিকল্প রুট ব্যবহার করতে। এছাড়া হজযাত্রী, বিদেশগামী ব্যক্তি ও পরীক্ষার্থীদের বাড়তি সময় হাতে নিয়ে বের হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহারেও বিশেষ ছাড় দেওয়া হয়েছে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য।
খালেদা জিয়ার ফেরাকে ঘিরে দলের ভেতরে যেমন উদ্দীপনা, তেমনি কর্তৃপক্ষের রয়েছে বাড়তি সতর্কতা। তাঁর গুলশানের বাসভবন এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে এবং নিয়োজিত হয়েছে সিএসএফসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।