ঢাকা   মঙ্গলবার ০৬ মে ২০২৫, ২৩ বৈশাখ ১৪৩২

“ফ্যাসিবাদকে পুনর্বাসনের চেষ্টা চলছে, নাম-তালিকা আমাদের কাছে রয়েছে”—শিবির সভাপতির হুঁশিয়ারি

“ফ্যাসিবাদকে পুনর্বাসনের চেষ্টা চলছে, নাম-তালিকা আমাদের কাছে রয়েছে”—শিবির সভাপতির হুঁশিয়ারি

রাজনীতির মাঠে ফের উত্তেজনাকর বার্তা দিলেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম। তিনি অভিযোগ করে বলেন, “অনেকে ফ্যাসিবাদকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করছেন। আমাদের কাছে তাদের নাম ও প্রমাণ রয়েছে।” আজ সোমবার রাজধানীর মতিঝিল শাপলা চত্বরে মানবপ্রাচীর কর্মসূচিতে তিনি এই মন্তব্য করেন।

তিনি সরাসরি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, “আমরা কারও নাম প্রকাশ করছি না, কিন্তু সবার তথ্য আমাদের হাতে আছে। যদি কেউ দেশে ফ্যাসিবাদ পুনঃপ্রতিষ্ঠার চেষ্টা করে, তাহলে তার পরিণতি হাসিনার চেয়েও ভয়াবহ হবে।”

মানবপ্রাচীর কর্মসূচির আয়োজন করে ইসলামী ছাত্রশিবির ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখা। ২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরে সংঘটিত ঘটনার বিচার দাবিতে এই কর্মসূচি পালিত হয়। ব্যানারে লেখা ছিল—‘শাপলা গণহত্যা’।

কর্মসূচিতে শিবির সভাপতি উল্লেখ করেন, ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবরের লগি-বৈঠা কাণ্ড, ২০০৯ সালের পিলখানা হত্যাকাণ্ড, ২০১৩ সালে সাঈদীর রায়ের পরবর্তী সহিংসতা, ৫ মে শাপলা চত্বরের ঘটনা এবং ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে সংঘটিত সহিংসতাগুলোর বিচার আজও ঝুলে আছে। শহীদদের সংখ্যা নিরূপণ এবং তাদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি জানান তিনি।

জাহিদুল ইসলাম বলেন, “দেশ ও জাতিসত্তার ইতিহাস লিখতে হলে মুসলিমদের অবদানকে বাদ দেওয়া যাবে না। ইতিহাসে তাদের রক্ত-ঘামেই এই ভূমির ভিত্তি তৈরি হয়েছে।”

এ সময় বক্তব্য দেন নিহতদের পরিবারের সদস্যরাও। নিহত খালেদ সাইফুল্লাহর ভাই নাজমুল হাসান বলেন, “আমার ভাই কোনো জঙ্গি ছিল না। ইসলাম অবমাননার প্রতিবাদে সে সমাবেশে গিয়েছিল। কিন্তু তাকেও নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।” তিনি সরকারের কাছে শহীদদের স্বীকৃতি দিয়ে গেজেট প্রকাশের দাবি জানান।

শিবিরের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি হেলাল উদ্দিনের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় শিল্প ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক আবু মূসা, শিক্ষা সম্পাদক মাহিনুল ইসলাম, ছাত্র অধিকার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক আজিজুর রহমান আজাদ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি আসাদুল ইসলাম, ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন খান প্রমুখ।