
পড়াশোনার চাপ, ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা, মানসিক টানাপোড়েন, এমনকি হয়রানির অভিজ্ঞতা—বিশ্ববিদ্যালয়জীবনে এমন নানা চ্যালেঞ্জে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে অনেক তরুণ। শিক্ষার্থীদের শরীর ও মন ভালো রাখতে তাই এক ব্যতিক্রমী আয়োজন করেছে ‘ঢাকা ফ্লো’। ‘ইয়ুথ ওয়েলনেস ফেস্টিভ্যাল ২০২৫’ শিরোনামে এই উৎসব শুরু হয় ১৩ এপ্রিল, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির উদ্বোধনী আয়োজনে।
এই আয়োজন শুধু বিনোদন নয়, ছিল আত্ম-উন্নয়ন ও সুস্থতা চর্চার এক অভিজ্ঞতা। ঢাকার ১০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে চলে নানা সেশনের আয়োজন। জুম্বা, যোগব্যায়াম, আত্মরক্ষার কৌশল শেখানো হয় শারীরিক সুস্থতার জন্য। মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়ে আয়োজনে রাখা হয় দলগত কাউন্সেলিং, মনোবিদের পরামর্শ, আত্মপরিচয় ও সহনশীলতা নিয়ে ওয়ার্কশপ।
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করতে আসেন সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রের অনুপ্রেরণাদায়ী ব্যক্তিরা—তাদের মধ্যে ছিলেন ব্র্যাক ইন্টারন্যাশনালের শামেরান আবেদ, ফুটবল ফেডারেশনের তাবিথ আউয়াল ও জেসিআই বাংলাদেশের তরুণ উদ্যোক্তারা।
ঢাকা ফ্লোর সহপ্রতিষ্ঠাতা সাজিয়া ওমরের ভাষায়, ‘আমরা এমন একটি সমাজ গড়তে চাই, যেখানে সাহায্য চাওয়াকে দুর্বলতা নয়, বরং সাহস হিসেবে দেখা হবে।’
এই উৎসব তরুণদের শেখাচ্ছে—ভালো থাকতে হলে শুধু পড়ালেখা নয়, দরকার শরীর ও মনের যত্ন। পৃষ্ঠপোষকতায় ছিল অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ ও টেকনো ড্রাগস লিমিটেড।