
নিজের শরীর, চেহারা আর আত্মবিশ্বাস নিয়ে দীর্ঘ দুই দশক ধরে হীনম্মন্যতায় ভুগেছেন মেলিন্ডা গেটস। সম্প্রতি 'জেমি কার্ন লিমা শো'তে অংশ নিয়ে মার্কিন সমাজসেবী ও উদ্যোক্তা মেলিন্ডা গেটস খোলামেলা কথা বলেন তার জীবনের টক্সিক সম্পর্ক, দীর্ঘদিনের মানসিক সংগ্রাম, থেরাপির পথচলা এবং বিল গেটসের সঙ্গে বিচ্ছেদ নিয়ে। জানান, ডিউক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময়কার প্রেম ছিল তার জীবনের প্রথম বিষাক্ত সম্পর্ক। প্রেমিকের কটূ মন্তব্যে আত্মবিশ্বাস ভেঙে পড়ে, নিজের শরীর নিয়ে শুরু হয় অসন্তোষ আর দোটানা। এরপর প্রায় ২০ বছর ধরে থেরাপিস্টের সাহায্য নিয়ে নিজেকে গড়ে তোলার চেষ্টা করেন তিনি।
মেলিন্ডা বলেন, “নিজেকে যেমন, তেমনভাবেই গ্রহণ করা শুরু করি মা হওয়ার পর। তখন বুঝি—আমার ওজন, চেহারা, বা জামার সাইজ নয়, বরং আমার সন্তানদের জন্য, সমাজ আর বিশ্বের জন্য আমি কী করতে পারছি, সেটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।” বয়স ৪০ পেরোনোর পর তিনি অনুভব করেন, জীবনের মানে শুধু বাহ্যিক সৌন্দর্যে নয়, বরং নিজের প্রভাব এবং অবদানেই নিহিত।
তিনি জানান, গবেষণাতেও প্রমাণ মেলে—যাঁরা অর্থবহ কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখেন, তাঁরা নিজের চেহারা নিয়ে খুব কমই চিন্তা করেন। মেলিন্ডা বলেন, “যেদিন নিজেকে নিয়ে না ভেবে অন্যদের জন্য ভাবতে শুরু করলাম, সেদিন থেকেই সত্যিকার অর্থে বাঁচতে শিখেছি।”
বিল গেটসের সঙ্গে বিচ্ছেদ প্রসঙ্গে মেলিন্ডা বলেন, “২৭ বছরের সম্পর্ক ভাঙা খুবই কঠিন ছিল। কিন্তু এটা জরুরি এবং অবশ্যম্ভাবী ছিল। তা সত্ত্বেও যদি আগেই জানতাম এই বিচ্ছেদের কথা, তবুও তাঁকেই বিয়ে করতাম। আমাদের একসঙ্গে গড়া জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত মূল্যবান।” ১৯৮৭ সালে মাইক্রোসফট সেলস কনফারেন্সে প্রথম দেখা, ১৯৯৪ সালে বিয়ে এবং ২০২১ সালে সেই বিয়ের অবসান—সবই এখন ইতিহাস।
বর্তমানে ৬০ বছর বয়সী মেলিন্ডা নতুন এক অধ্যায়ে প্রবেশ করেছেন। ৪৮ বছর বয়সী প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ফিলিপ ভনের সঙ্গে তার সম্পর্ক এখন রোমান্টিক ও গভীর। যদিও সঙ্গীর পরিচয় প্রকাশ করেননি, তবু জানান, “আমি এখন অনেক ভালো আছি। অনেক অনেক ভালো আছি।”
অন্যদিকে, বিল গেটসও সম্প্রতি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, সুযোগ পেলে আবার মেলিন্ডাকেই বিয়ে করতেন। তবে তিনি এখন পলা হার্ডের সঙ্গে সুখে সময় কাটাচ্ছেন।
মেলিন্ডার আসন্ন স্মৃতিকথা “The Next Door” প্রকাশিত হলে, এসব অভিজ্ঞতা ও উপলব্ধি নিয়ে আরও বিশদ জানা যাবে।
মেলিন্ডা বলেন, “নিজেকে যেমন, তেমনভাবেই গ্রহণ করা শুরু করি মা হওয়ার পর। তখন বুঝি—আমার ওজন, চেহারা, বা জামার সাইজ নয়, বরং আমার সন্তানদের জন্য, সমাজ আর বিশ্বের জন্য আমি কী করতে পারছি, সেটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।” বয়স ৪০ পেরোনোর পর তিনি অনুভব করেন, জীবনের মানে শুধু বাহ্যিক সৌন্দর্যে নয়, বরং নিজের প্রভাব এবং অবদানেই নিহিত।
তিনি জানান, গবেষণাতেও প্রমাণ মেলে—যাঁরা অর্থবহ কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখেন, তাঁরা নিজের চেহারা নিয়ে খুব কমই চিন্তা করেন। মেলিন্ডা বলেন, “যেদিন নিজেকে নিয়ে না ভেবে অন্যদের জন্য ভাবতে শুরু করলাম, সেদিন থেকেই সত্যিকার অর্থে বাঁচতে শিখেছি।”
বিল গেটসের সঙ্গে বিচ্ছেদ প্রসঙ্গে মেলিন্ডা বলেন, “২৭ বছরের সম্পর্ক ভাঙা খুবই কঠিন ছিল। কিন্তু এটা জরুরি এবং অবশ্যম্ভাবী ছিল। তা সত্ত্বেও যদি আগেই জানতাম এই বিচ্ছেদের কথা, তবুও তাঁকেই বিয়ে করতাম। আমাদের একসঙ্গে গড়া জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত মূল্যবান।” ১৯৮৭ সালে মাইক্রোসফট সেলস কনফারেন্সে প্রথম দেখা, ১৯৯৪ সালে বিয়ে এবং ২০২১ সালে সেই বিয়ের অবসান—সবই এখন ইতিহাস।
বর্তমানে ৬০ বছর বয়সী মেলিন্ডা নতুন এক অধ্যায়ে প্রবেশ করেছেন। ৪৮ বছর বয়সী প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ফিলিপ ভনের সঙ্গে তার সম্পর্ক এখন রোমান্টিক ও গভীর। যদিও সঙ্গীর পরিচয় প্রকাশ করেননি, তবু জানান, “আমি এখন অনেক ভালো আছি। অনেক অনেক ভালো আছি।”
অন্যদিকে, বিল গেটসও সম্প্রতি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, সুযোগ পেলে আবার মেলিন্ডাকেই বিয়ে করতেন। তবে তিনি এখন পলা হার্ডের সঙ্গে সুখে সময় কাটাচ্ছেন।
মেলিন্ডার আসন্ন স্মৃতিকথা “The Next Door” প্রকাশিত হলে, এসব অভিজ্ঞতা ও উপলব্ধি নিয়ে আরও বিশদ জানা যাবে।