
কমেছে ১৪ হাজার কোটি টাকার বাজার মূলধন
দুই সপ্তাহের ব্যবধানে দেশের শেয়ারবাজার থেকে প্রায় ১৪ টাকা পুঁজি গায়েব হয়ে গেছে। অর্থাৎ দুই সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে বাজার মূলধন কমেছে প্রায় ১৪ হাজার কোটি টাকার। বিদায়ী সপ্তাহে (২৭-৩০ এপ্রিল’২৫) বাজার মূলধন কমেছে প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা। এর আগের সপ্তাহে বাজার মূলধন কমেছে ৭ হাজার কোটি টাকা। আলোচ্য সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সবগুলো সূচকের পাশাপাশি টাকার অংকে লেনদেন কমেছে। একই সঙ্গে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির দর কমেছে।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে সূচকের পতন হলেও টাকার অংকে লেনদেন বেড়েছে।
সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৫৪.৬৮ পয়েন্ট বা ১.১০ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৯১৭.৯২ পয়েন্টে।
অপর সূচকগুলোর মধ্যে- ডিএসই-৩০ সূচক ২২.১২ পয়েন্ট বা ১.২০ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৮২২.৮৯ পয়েন্টে।
ডিএসই শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস ১০.৫২ পয়েন্ট বা ০.৯৫ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৯৪.১৮ পয়েন্টে।
এছাড়া, ডিএসএমইএক্স সূচক ১১.০৫ পয়েন্ট বা ১.২১ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯২৩.৪৮ পয়েন্টে।
বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৯৪টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে।
এর মধ্যে দর বেড়েছে ৫৭টি, কমেছে ৩২৪টি এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৫টি প্রতিষ্ঠানের।
বিদায়ী সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৫২ কোটি ৩৮ লাখ ৮০ হাজার শেয়ার ৪ লাখ ৮৭ হাজার ৪৩৮বার হাতবদল হয়।
টাকার অংকে যার বাজার মূল্য দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৪১০ কোটি ১৫ লাখ ১০ হাজার টাকা।
আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৭১৮ কোটি ১৮ লাখ ২০ হাজার টাকার।
অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ৩০৮ কোটি ৩ লাখ ১০ হাজার টাকা বা ১৭.৯২ শতাংশ।
বিদায়ী সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস লেনদেন শুরুর আগে ডিএসইতে বাজার মূলধন ছিল ৬ লাখ ৬৩ হাজার ৪৫০ কোটি ১৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা।
আর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৫৬ হাজার ৫৬৯ কোটি ৩৬ লাখ ৫০ হাজার টাকায়।
অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ৬ হাজার ৮৮০ কোটি ৭৭ লাখ ৮০ হাজার টাকা বা ১.০৪ শতাংশ।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৫১.৬৪ পয়েন্ট বা ১.০৮ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৮০৫.৩১ পয়েন্টে।
সিএসইর অপর সূচক সিএসসিএক্স ৯৬.৩৩ পয়েন্ট বা ১.১৩ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ৪২৮.৫৫ পয়েন্টে।
অপর ২টি সূচকের মধ্যে সিএসই-৫০ সূচক ১১.৯২ পয়েন্ট বা ১.১১ শতাংশ এবং সিএসআই সূচক ৫.৮২ পয়েন্ট বা ০.৬৪ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে- এক হাজার ৬৫.৮৯ পয়েন্টে এবং ৮৯৭.৯৮ পয়েন্টে।
এছাড়া, সিএসই-৩০ সূচক ৯৮.০৭ পয়েন্ট বা ০.৮৩ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১১ হাজার ৬৭৩.৪৯ পয়েন্টে।
সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে ৩০৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে।
এর মধ্যে দর বেড়েছে ১১১টি, কমেছে ১৭২টি এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৫টির।
সপ্তাহটিতে টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ৬৮ কোটি ৬৩ লাখ ৮৭ হাজার ৮৩৭ টাকার।
আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ২৭ কোটি ৩৪ লাখ ৭ হাজার ৫২০ টাকার।
অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ৪১ কোটি ২৯ লাখ ৮০ হাজার ৩১৭ টাকা বা ১৫১.০৪ শতাংশ।
রিটার্নে ১১ খাতে লোকসান বিনিয়োগকারীদের
বিদায়ী সপ্তাহে (২৭-৩০ এপ্রিল) সাপ্তাহিক রিটার্নে দর কমেছে ১১ খাতে। এর ফলে এই ১১ খাতের বিনিয়োগকারীরা লোকসানে রয়েছে। একই সময়ে সাপ্তাহিক রিটার্নে দর বেড়েছে ৭ খাতে এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২ খাতে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা যায়, আলোচ্য সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি দর কমেছে টেলিকমিউনিকেশন খাতে। বিদায়ী সপ্তাহে এই খাতে দর কমেছে ৫.১০ শতাংশ। ৩.৩০ শতাংশ দর কমে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে আর্থিক খাত। একই সময়ে ২.৯০ শতাংশ দর কমে তালিকার তৃতীয় স্থানে অবস্থান করছে ভ্রমণ ও অবকাশ খাত।
লোকসান হওয়া অন্য খাতের মধ্যে- লাইফ ইন্স্যুরেন্স খাতে ২.৪০ শতাংশ, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে ২.২০ শতাংশ, পাট খাতে ১.৫০ শতাংশ, ব্যাংক এবং জেনারেল ইন্স্যুরেন্স খাতে ১.৩০ শতাংশ, প্রকৌশল ও ট্যানারি খাতে ০.৩০ শতাংশ এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ০.০৪ শতাংশ দর কমেছে।
ডিএসইর পিই রেশিও কমেছে
বিদায়ী সপ্তাহে ((২৭-৩০ এপ্রিল) ডিএসইর (ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ) পিই রেশিও (সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত) অপরির্তত ছিল। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা যায়, আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইর পিই রেশিও ৯.৪০ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আগের সপ্তাহে ডিএসইর পিই রেশিও ছিল ৯.৪০ পয়েন্ট।
খাতভিত্তিক হিসাবে পিই রেশিও বিশ্লেষণে দেখা যায় বিদায়ী সপ্তাহে- ব্যাংক খাতে ৬.০ পয়েন্ট, সিমেন্ট খাতে ১২.৭ পয়েন্ট, সিরামিকস খাতে ৩৮২.৯ পয়েন্ট, প্রকৌশল খাতে ১২.৫ পয়েন্ট, আর্থিক খাতে ২০.৫ পয়েন্ট, খাদ্য খাতে ১২.৮ পয়েন্ট, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ৬.৩ পয়েন্ট, সাধারণ বিমা খাতে ১১.৩ পয়েন্ট, আইটি খাতে ১৭.০ পয়েন্ট, পাট খাতে ৩০.৮ পয়েন্ট, বিবিধ খাতে ৩৪.৬ পয়েন্ট, মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতে ৩২.৯ পয়েন্ট, কাগজ খাতে ৪০.২ পয়েন্ট, ওষুধ খাতে ১১.২ পয়েন্ট, সেবা-আবাসন খাতে ৯.৬ পয়েন্ট, ট্যানারি খাতে ৪৪.৪ পয়েন্ট, টেলিকমিউনিকেশন খাতে ১৬.৪ পয়েন্ট, বস্ত্র খাতে ১২.৫ পয়েন্ট এবং ভ্রমণ ও অবকাশ খাত ২১.৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
আগের সপ্তাহে (২০ -২৪ এপ্রিল’২৫) খাত ভিত্তিক পিই রেশিও ছিল- ব্যাংক খাতে ৬.২ পয়েন্ট, সিমেন্ট খাতে ১৩.৮ পয়েন্ট, সিরামিকস খাতে ৩৭৯.৩ পয়েন্ট, প্রকৌশল খাতে ১৭.৩ পয়েন্ট, আর্থিক খাতে ২১.৯ পয়েন্ট, খাদ্য খাতে ১৩.০ পয়েন্ট, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ৬.১ পয়েন্ট, সাধারণ বিমা খাতে ১১.৫ পয়েন্ট, আইটি খাতে ১৬.১ পয়েন্ট, পাট খাতে ৩১.৮ পয়েন্ট, বিবিধ খাতে ৩৪.৬ পয়েন্ট, মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতে ২৪.২ পয়েন্ট, কাগজ খাতে ৩৪.৫ পয়েন্ট, ওষুধ খাতে ১১.০ পয়েন্ট, সেবা-আবাসন খাতে ৯.৪ পয়েন্ট, ট্যানারি খাতে ৪৪.৫ পয়েন্ট, টেলিকমিউনিকেশন খাতে ১৩.১ পয়েন্ট, বস্ত্র খাতে ১১.৮ পয়েন্ট এবং ভ্রমণ ও অবকাশ খাত ৩০.৭ পয়েন্ট।
ব্লক মার্কেটে ১৫৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন
বিদায়ী সপ্তাহে (২৭-৩০ এপ্রিল) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ব্লক মার্কেটে ৮৭ কোম্পানির ১৫৩ কোটি ৩৯ লাখ ৯০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে ১০ কোম্পানির।
কোম্পানিগুলো হলো- স্কয়ার ফার্মা, লাভেলো আইস্ক্রিম, লাফার্জহোলসিম, এনভয় টেক্সটাইল, এসইএমএল লেকচার ফান্ড, ক্রাউন সিমেন্ট, মিডল্যান্ড ব্যাংক, ওয়ালটন হাইটেক, রিলায়েন্স ওয়ান বেং ফাইন ফুডস।
আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইতে ব্লক মার্কেটে এই ১০ কোম্পানির মোট ১৪০ কোটি ৮৯ লাখ ৯০ হাজার টাকা। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা যায়, কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে স্কয়ার ফার্মার। সপ্তাহজুড়ে ব্লক মার্কেটে কোম্পানিটির ১০৩ কোটি ৬৯ লাখ ৮০ হাজার টাকা। বিদায়ী সপ্তাহে কোম্পানিটির সর্বশেষ দর ছিল ২১৪ টাকা ১০ পয়সা।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লাভেলো আইস্ক্রিমের ৮ কোটি ৪৭ লাখ ৭০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। বিদায়ী সপ্তাহে কোম্পানিটির সর্বশেষ দর ছিল ৮৩ টাকা ৪০ পয়সায়।
তৃতীয় সর্বোচ্চ লাফার্জহোলসিমের ৫ কোটি ৯৬ লাখ ২০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। বিদায়ী সপ্তাহে কোম্পানিটির সর্বশেষ দর ছিল ৪৫ টাকা ৩০ পয়সায়।
সপ্তাহজুড়ে ব্লক মার্কেটে লেনদেন হওয়া অন্য ৭টি কোম্পানির মধ্যে- এনভয় টেক্সটাইলের ৫ কোটি ৭৯ লাখ ৭০ হাজার টাকা, এসইএমএল লেকচার ফান্ডের ৫ কোটি ৮০ লাখ টাকা, ক্রাউন সিমেন্টের ৩ কোটি ২২ লাখ ৮০ হাজার টাকা, মিডল্যান্ড ব্যাংকের ২ কোটি ৭৯ লাখ ৭০ হাজার টাকা, ওয়ালটন হাইটেকের ২ কোটি ২৫ লাখ ২০ হাজার টাকা, রিলায়েন্স ওয়ানের ২ কোটি ২২ লাখ ৬০ হাজার টাকা এবং ফাইন ফুডসের ১ কোটি ৭১ লাখ ৯০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
লেনদেনের শীর্ষে স্কয়ার ফার্মা
বিদায়ী সপ্তাহে (২৭-৩০ এপ্রিল) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাপ্তাহিক লেনদেনে শীর্ষ ১০ কোম্পানির তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
আলোচ্য সপ্তাহে লেনদেন তালিকার শীর্ষস্থান দখল করেছে স্কয়ার ফার্মা।
সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির ১১৫ কোটি ৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা ছিল ডিএসইর লেনদেনের ৮.১৬ শতাংশ।
সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড় লেনদেন হয়েছে ২৮ কোটি ৭৬ লাখ ৫০ হাজার টাকার। বিদায়ী সপ্তাহে কোম্পানিটির সর্বশেষ দর ছিল ২১৪ টাকা ১০ পয়সায়।
লেনদেনের দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বিচ হ্যাচারি। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির ৫৬ কোটি ৪ লাখ ৪০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা ছিল ডিএসইর লেনদেনের ৩.৯৭ শতাংশ।
সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড় লেনদেন হয়েছে ১৪ কোটি ১ লাখ ১০ হাজার টাকার। বিদায়ী সপ্তাহে কোম্পানিটির সর্বশেষ দর ছিল ৫৭ টাকা ৮০ পয়সায়।
সাপ্তাহিক লেনদেন তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে- মিডল্যান্ড ব্যাংক। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির ৫৪ কোটি ৬২ লাখ ৮০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা ছিল ডিএসইর লেনদেনের ৩.৮৭ শতাংশ।
সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড় লেনদেন হয়েছে ১৩ কোটি ৬৫ লাখ ৭০ হাজার টাকার। বিদায়ী সপ্তাহে কোম্পানিটির সর্বশেষ দর ছিল ২০ টাকা ৮০ পয়সায়।
এছাড়া, সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষ তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে- লাভেলো আইস্ক্রিমের ৪৫ কোটি ৪০ হাজার টাকা, ব্র্যাক ব্যাংকের ৩৯ কোটি ২৯ লাখ ২০ হাজার টাকা, শাহজীবাজার পাওয়ারের ৩৬ কোটি ৪৪ লাখ ৪০ হাজার টাকা, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের ৩০ কোটি ৮৩ লাখ ২০ হাজার টাকা, সিটি ব্যাংকের ২৮ কোটি ৩২ লাখ ৮০ হাজার টাকা, শাইনপুকুর সিরামিকসের ২৭ কোটি ৩ লাখ ২০ হাজার টাকা এবং বেক্সিমকো ফার্মার ২৩ কোটি ৫৮ লাখ ৮০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
দর পতনের শীর্ষে প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্স
বিদায়ী সপ্তাহে (২৭-৩০ এপ্রিল) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাপ্তাহিক দর পতনের শীর্ষ ১০ কোম্পানির তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় এই তথ্য জানা গেছে।
আলোচ্য সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি দর কমেছে প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্সের। সপ্তাহজুড়ে প্রতিষ্ঠানটির দর কমেছে ২৫.১২ শতাংশ।
আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে কোম্পানিটির দর ছিল ৬০ টাকা ১০ পয়সা। গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে যার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪৫ টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির দর কমেছে ১৫ টাকা ১০ পয়সা।
সাপ্তাহিক দরপতন বা লুজার তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা শাইনপুকুর সিরামিকসের শেয়ার দর কমেছে ১৩.৫১ শতাংশ।
আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে কোম্পানিটির দর ছিল ৪৪ টাকা ৪০ পয়সা।
গত সপ্তাহের শেস কার্যদিবসে যার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩৮ টাকা ৪০ পয়সা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির দর কমেছে ৬ টাকা।
১২.৮৭ শতাংশ দর কমে সাপ্তাহিক লুজার তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে ডেসকো।
আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে কোম্পানিটির দর ছিল ২৭ টাকা ২০ পয়সা। গত সপ্তাহের শেস কার্যদিবসে যার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৩ টাকা ৭০ পয়সা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির দর কমেছে ৩ টাকা ৫০ পয়সা।
সাপ্তাহিক দর পতনের শীর্ষ তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে- পাওয়ারগ্রিডের ১২.৩০ শতাংশ, এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশনের ১০.৭১ শতাংশ, মীর আক্তার হোসেনের ১০.৩১ শতাংশ, জিলবাংলা সুগারের ৯.৩৭ শতাংশ, আনলিমা ইয়ার্নের ৮.০৫ শতাংশ, কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্সের ৮.০০ শতাংশ এবং এইচআর টেক্সটাইলের ৭.৯০ শতাংশ দর কমেছে।
দর বৃদ্ধির শীর্ষে মিডল্যান্ড ব্যাংক
বিদায়ী সপ্তাহে (২৭-৩০ এপ্রিল) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাপ্তাহিক দর বৃদ্ধির শীর্ষ ১০ কোম্পানির তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।
ডিএসই সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
আলোচ্য সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে মিডল্যান্ড ব্যাংকের। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ১৭.৫১ শতাংশ।
আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে কোম্পানিটির দর ছিল ১৭ টাকা ৭০ পয়সা।
গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে দর দাঁড়িয়েছে ২০ টাকা ৮০ পয়সা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির দর বেড়েছে ৩ টাকা ১০ পয়সা।
ডিএসইর গেইনার তালিকার দ্বিতীয় স্থানে থাকা এসইএমএল লেকচার ফান্ডের শেয়ার দর বেড়েছে ১৬.০০ শতাংশ।
আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে কোম্পানিটির দর ছিল ১০ টাকা। গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে যার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১১ টাকা ৬০ পয়সা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির দর বেড়েছে ১ টাকা ৬০ পয়সা।
১৪.৭৫ শতাংশ দর বেড়ে সাপ্তাহিক গেইনার তালিকার তৃতীয় স্থানে অবস্থান করছে ইউনাইটেড ফাইন্যান্স।
আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে প্রতিষ্ঠানটির দর ছিল ১২ টাকা ২০ পয়সা। গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে যার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৪ টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির দর বেড়েছে ১ টাকা ৮০ পয়সা।
সাপ্তাহিক দর বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় উঠে আসা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে- এমারেল্ড অয়েলের ১৩.৯৯ শতাংশ, কেয়া কসমেটিকসের ১৩.৬৪ শতাংশ, ফারইস্ট ফাইন্যান্সের ১২.৯০ শতাংশ, এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজের ১২.২১ শতাংশ, প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ১২.১৫ শতাংশ, ডেল্টা স্পিনার্সের ১১.১১ শতাংশ এবং খুলনা প্রিন্টিংয়ের ১০.৭৫ শতাংশ দর বেড়েছে।