
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিভিন্ন খাতের ৩৮টি কোম্পানি তাদের প্রথম ও তৃতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এই প্রতিবেদনে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস), নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস), এবং ক্যাশফ্লোসহ গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক সূচকগুলো উঠে এসেছে। একাধিক কোম্পানি ভালো পারফরম্যান্স করলেও বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের লোকসান বেড়েছে, যা বিনিয়োগকারীদের জন্য চিন্তার কারণ হতে পারে।
নিচে কোম্পানিগুলোর ইপিএস এবং আর্থিক অবস্থার সারসংক্ষেপ তুলে ধরা হলো:
উন্নতির পথে যারা
-
অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ:
তৃতীয় প্রান্তিকে ইপিএস বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২.১৫ টাকা। তিন প্রান্তিকে মোট আয় ৭.৯৭ টাকা, যা গত বছরের চেয়ে ৯ পয়সা বেশি। -
আরামিট পিএলসি:
লোকসান কাটিয়ে এই প্রান্তিকে ইপিএস ৬৩ পয়সা, যেখানে গত বছর একই সময়ে ৫২ পয়সা ছিল। তিন প্রান্তিকে কোম্পানিটি লোকসান থেকে ১.৩২ টাকা আয় দেখিয়েছে। -
কনফিডেন্স সিমেন্ট:
এ প্রান্তিকে ২.৮৮ টাকা আয়, তিন প্রান্তিকে ৯.৬৭ টাকা। গত বছরের তুলনায় ১.৬১ টাকা বেশি।
স্থিতিশীলতা বজায় রাখা কোম্পানি
-
মুন্নু ফেব্রিকস:
তৃতীয় প্রান্তিকে ইপিএস ২ পয়সা, আগের বছরের তুলনায় অপরিবর্তিত। তিন প্রান্তিকে ৯ পয়সা। -
নাভানা সিএনজি:
ইপিএস ৩ পয়সা, আগের বছরের মতোই। তিন প্রান্তিকে ৯ পয়সা, যা ১ পয়সা বেশি। -
তমিজউদ্দিন টেক্সটাইল:
তিন প্রান্তিকে ইপিএস ৪.৪৮ টাকা, গত বছর ৪.৪২ টাকা। -
সায়হাম কটন:
তিন প্রান্তিকে আয় ৮৭ পয়সা, যা আগের বছরের তুলনায় ১৩ পয়সা বেশি।
ব্যাপক লোকসানে নিমজ্জিত কোম্পানি
-
জুট স্পিনার্স:
তৃতীয় প্রান্তিকে ৭.০৪ টাকা লোকসান, তিন প্রান্তিকে মোট ২৪.৭৩ টাকা। এনএভিপিএস মাইনাস ৬১২.৬০ টাকা! -
ঢাকা ডাইং:
তৃতীয় প্রান্তিকে ১.৬৩ টাকা লোকসান। তিন প্রান্তিকে লোকসান ৩.৭২ টাকা। -
এক্সমি পেস্টিসাইডস:
তিন প্রান্তিকে লোকসান ১.০২ টাকা, আগের বছরের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ। -
আরামিট সিমেন্ট:
তিন প্রান্তিকে লোকসান ৫.৯৬ টাকা। -
হাওয়া ওয়েল টেক্সটাইলস:
ইপিএস ৮৬ পয়সা, কিন্তু আগের বছর একই সময়ে ছিল ২৯ টাকা—বড় পতন।
ফার্মা ও টেক্সটাইল খাতের মিশ্র পারফরম্যান্স
-
অ্যাডভেন্ট ফার্মা:
তিন প্রান্তিকে ইপিএস ৫৩ পয়সা, যা আগের বছরের ৯১ পয়সা থেকে কম। -
সায়হাম টেক্সটাইলস:
ইপিএস ৪৭ পয়সা, গত বছর ছিল ৪৪ পয়সা—সামান্য উন্নতি। -
ঢাকা ডাইং:
এক বছরেই লোকসান প্রায় চারগুণ বেড়েছে। -
মুন্নু এগ্রো:
তিন প্রান্তিকে ১.৭৬ টাকা আয়, যা আগের বছরের তুলনায় ১৩ পয়সা বেশি।
বিশ্লেষণী দৃষ্টিভঙ্গি
এ বছরের আর্থিক প্রতিবেদনগুলো থেকে বোঝা যায়, কিছু কোম্পানি প্রতিকূল বাজার পরিস্থিতির মধ্যেও ভালো পারফর্ম করেছে, আবার অনেক প্রতিষ্ঠান অতীতের তুলনায় পিছিয়ে পড়েছে। বিনিয়োগকারীদের জন্য এসব তথ্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ—কারণ ইপিএস এবং এনএভিপিএসই কোম্পানির ভিতরে প্রবাহমান আর্থিক স্বাস্থ্য তুলে ধরে।