উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি ঘনীভূত হয়ে এখন সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। এটি আরও শক্তিশালী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চল ও সমুদ্রবন্দরগুলোর ওপর দিয়ে ঝোড়ো বা দমকা হাওয়া বয়ে যেতে পারে। ফলে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা—এই চারটি সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
বুধবার সকালে জারি করা আবহাওয়ার সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত গভীর সমুদ্রে না যেতে বলা হয়েছে।
এদিকে আগামী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমীবায়ু ইতোমধ্যে ঢাকা বিভাগের পূর্বাংশসহ বরিশাল, চট্টগ্রাম, সিলেট ও ময়মনসিংহ পর্যন্ত অগ্রসর হয়েছে। এর ফলে ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের কিছু কিছু এলাকায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
বিশেষ করে খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে অতিভারি বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। এতে সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কমে যেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রাও সামান্য হ্রাস পেতে পারে বলে জানায় আবহাওয়া অফিস।
প্রাকৃতিক এই পরিবর্তন কৃষিকাজ, জেলেপেশা ও শহরাঞ্চলের জনজীবনে সাময়িক প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন, বৃষ্টির পানি নিষ্কাশন ও আবহাওয়া পরিস্থিতির দিকে সচেতন নজর রাখার জন্য।
























