ঢাকা   রোববার ১১ মে ২০২৫, ২৭ বৈশাখ ১৪৩২

জাতীয় শিক্ষা পদক ২০২৪’-এ শ্রেষ্ঠ বিদ্যালয় দিনাজপুরের সুব্রত খাজাঞ্জী স্কুল

জাতীয় শিক্ষা পদক ২০২৪’-এ শ্রেষ্ঠ বিদ্যালয় দিনাজপুরের সুব্রত খাজাঞ্জী স্কুল

“মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করি, বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ি”—এই স্লোগানকে ধারণ করে শনিবার (১০ মে) রাজধানীর ঢাকায় জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ ২০২৫-এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে ২০২৪ সালের প্রাথমিক শিক্ষা পদক বিতরণ করা হয়।

অনুষ্ঠানে ১৪টি ক্যাটাগরিতে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনকারীদের এবং শিক্ষার্থীদের ক্রীড়া, সংস্কৃতি ও বিষয়ভিত্তিক কুইজ প্রতিযোগিতায় ১৮টি ক্যাটাগরিতে (বালক ও বালিকা) বিজয়ীদের পুরস্কার দেওয়া হয়।

প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার সুব্রত খাজাঞ্জী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে শ্রেষ্ঠ বিদ্যালয় হিসেবে ঘোষণা করা হয়। রাজশাহী পিটিআই পেয়েছে শ্রেষ্ঠ প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের স্বীকৃতি।

ব্যক্তি পর্যায়ে পুরস্কারপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন—শেরপুরের জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. ওবায়দুল্লাহ (শ্রেষ্ঠ কর্মকর্তা), বগুড়ার মো. মোস্তফা কামাল (শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক), মৌলভীবাজারের ইনাম উল্লাহ খান (শ্রেষ্ঠ সহকারী শিক্ষক) এবং জামালপুরের ফারজানা ইসলাম (শ্রেষ্ঠ সহকারী শিক্ষিকা)। এছাড়াও বিভিন্ন বিভাগে আরও অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারী, প্রশিক্ষক ও শিক্ষককে সম্মাননা দেওয়া হয়।

শিক্ষার্থীদের জন্য ক্রীড়া, চিত্রাঙ্কন ও কুইজসহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অর্জনকারীরা যথাক্রমে ৩০, ২৫ ও ২০ হাজার টাকা, পদক ও সনদপত্র পেয়েছেন। ব্যক্তি পর্যায়ে বিজয়ীরা ৫০ হাজার টাকা, পদক ও সনদ এবং প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে সেরা প্রতিষ্ঠানগুলো পেয়েছে ৫০ হাজার টাকা, ক্রেস্ট ও সনদ।

প্রধান অতিথি হিসেবে শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন। সভাপতিত্ব করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার। বক্তব্য দেন মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মো. মাসুদ রানা এবং অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু নূর মো. শামসুজ্জামান।

প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়ন, সৃজনশীলতায় উৎসাহ এবং সংশ্লিষ্টদের অবদানকে স্বীকৃতি দিতে ১৯৮৫ সাল থেকে এই পদক কার্যক্রম চালু রয়েছে।

জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ উপলক্ষে দেশের উপজেলা ও বিদ্যালয় পর্যায়েও নানা আয়োজন, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান, চিত্রাঙ্কন, উপস্থিত বক্তৃতা ও শিক্ষামূলক কর্মসূচি পালন করা হয়।