
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ৫ জুন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে হজ। বাংলাদেশ থেকে হজযাত্রীদের প্রথম ফ্লাইট ইতোমধ্যে ২৯ এপ্রিল শুরু হয়েছে, যা চলবে ৩১ মে পর্যন্ত। সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৫ হাজার ২০০ এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৮১ হাজার ৯০০ জন হজযাত্রী এবার সৌদি আরবে যাচ্ছেন। ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে ১০ জুন থেকে এবং শেষ হবে ১০ জুলাই।
প্রায় ৪০ দিনের দীর্ঘ এই হজ সফরে হজযাত্রীদের লাগেজ ব্যবস্থাপনা ও প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গুরুত্বপূর্ণ। হজ ব্যবস্থাপনা পোর্টাল ও সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে কিছু দরকারি পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, যা যাত্রাপথে সাহায্য করবে।
প্রথমত, একজন হজযাত্রীর লাগেজ ideally দুইটি হওয়া উচিত—একটি বড় স্যুটকেস, যা বিমানে বুকিং দেওয়া হবে, এবং একটি ছোট হাতব্যাগ, যা তিনি সঙ্গে রাখবেন। হাতে থাকা ব্যাগে ৭ কেজি পর্যন্ত মালামাল বহনের অনুমতি থাকে। রোড টু মক্কা প্রোগ্রামের আওতায় লাগেজগুলো সরাসরি মক্কা বা মদিনার বাসায় পৌঁছে যায়, তবে মাঝে মাঝে ব্যাগ হারানোর মতো সমস্যাও হতে পারে। তাই প্রয়োজনীয় কিছু জিনিস হাতব্যাগেই রাখা উচিত।
হজযাত্রীদের জন্য মূল পরামর্শগুলো হলো:
-
প্রয়োজনীয় কাপড় দুই ব্যাগে ভাগ করে নিন—হাত ব্যাগে অন্তত ৪ সেট ওষুধ ও কাপড় রাখুন।
-
৫০ দিনের ওষুধ ভাগ করে ২০ দিনের ওষুধ হাত ব্যাগে, বাকি বড় ব্যাগে রাখুন।
-
হাত, পা ও ত্বক ফেটে যাওয়া রোধে ভেসলিন ও মোজা রাখতে ভুলবেন না।
-
পেস্ট, ব্রাশ, চার্জার, একটি ইহরাম, পাসপোর্ট, ভিসা কপি, টিকিট, টাকা ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র হাত ব্যাগে রাখুন।
-
দিনের তাপ ও রোদ থেকে বাঁচতে ছোট ছাতা সঙ্গে রাখুন।
-
অপরিচিত কারও মালামাল নেওয়া যাবে না এবং খাদ্যসামগ্রী বহন করা নিষেধ।
-
ধারালো বস্তু, গ্যাসজাত দ্রব্য বা ১০০ মি.লি.-এর বেশি তরল পদার্থ হাত ব্যাগে রাখা যাবে না।
-
লাগেজের মাপ নির্দিষ্ট (৬৫ x ৪৫ x ২৫ সেমি) হতে হবে, গোল বা দড়িবাঁধা ব্যাগ গ্রহণযোগ্য নয়।
-
প্রত্যেক হজযাত্রী ফিরতি ফ্লাইটে ২৩ কেজির দুটি ব্যাগ ও ৭ কেজির হাতব্যাগ নিতে পারবেন এবং পাবেন ৫ লিটার জমজম পানি।
-
সৌদি ইমিগ্রেশন কার্যক্রম ঢাকা বিমানবন্দর থেকেই সম্পন্ন হবে।
এই পরামর্শগুলো অনুসরণ করলে হজযাত্রা হবে অনেক বেশি সুসংগঠিত ও ঝামেলামুক্ত। হজযাত্রীদের জন্য একটি নিরবিচার ও শান্তিপূর্ণ হজ কামনা করা হচ্ছে।