
নতুন নির্বাচন কমিশন কীভাবে গঠিত হবে, সেই কমিশনের অধীনে কীভাবে আগামী নির্বাচন হবে- সে বিষয়ে বিএনপির প্রস্তাব তুলে ধরেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
তিনি বলেছেন, এই কমিশন হতে হবে সব নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল অথবা স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী প্রতিটি দলের ঐকমত্যের ভিত্তিতে।
‘সব দলের অংশগ্রহণে সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ’ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের কয়েকটি ধারাও সংশোধনের প্রস্তাব করেছেন সংসদের বাইরে থাকা বিএনপির নেত্রী।
শুক্রবার গুলশানের ওয়েস্টিন হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলন খালেদা তার এই প্রস্তাব তুলে ধরেন।
বিএনপির ভাষায় ‘সরকারের আজ্ঞাবহ’ কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হবে আগামী ফেব্রুয়ারিতে। এরপর যে নির্বাচন কমিশন হবে তার অধীনেই ২০১৯ সালে একাদশ সংসদ নির্বাচন হবে।
২০১২ সালে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে ‘সার্চ কমিটির’ মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠন করেছিলেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান। এবারও সেভাবেই রাষ্ট্রপতি নতুন কমিশন করে দেবেন বলে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ইতোধ্যে জানিয়েছেন।
কাজী রকিব নেতৃত্বাধীন বর্তমান কমিশনের অধীনে অধিকাংশ নির্বাচনেই অংশ নেয়নি বিএনপি। দলটি সব রাজনৈতিক দলের মতামতের ভিত্তিতে নতুন ইসি গঠনের দাবি জানিয়ে আসছে।
সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়া বর্তমান নির্বাচন কমিশনকে ‘বিতর্কিত’ আখ্যায়িত করেন এবং বলেন বিগত নির্বাচনগুলোতে ‘ভোট দিতে না পেরে’ জনগণ ‘ক্ষুব্ধ’।
বিএনপি চেয়ারপারসনের ভাষায়, ‘সব দলের অংশগ্রহণে একটি অবাধ ও সষ্ঠু নির্বাচন’ জনগণ চায়, যেখানে তারা ‘নির্বিঘ্নে’ ভোট দিতে পারবেন এবং তার ফলাফল ‘কেউ বদলে দিতে পারবে না’।
আর এ জন্য একটি ‘স্বাধীন ও শক্তিশালী’ নির্বাচন কমিশন গঠনের ‘বিকল্প নেই’ বলে তিনি মন্তব্য করেন।
নির্বাচন কমিশন গঠন প্রক্রিয়া ছাড়াও প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনারদের যোগ্যতা কেমন হওয়া উচিৎ- সে বিষয়ে নিজের প্রস্তাব তিনি তুলে ধরেন।
বৃহস্পতিবার দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে খালেদার এসব প্রস্তাব চূড়ান্ত করা হয় বলে বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতারা জানিয়েছেন।
শেয়ার বিজনেস24.কম