ঢাকা   শুক্রবার ০৯ মে ২০২৫, ২৫ বৈশাখ ১৪৩২

শিশু ধর্ষণ: ৩০ দিনের মধ্যে তদন্ত, ১৮০ দিনে বিচারের নির্দেশ

বিশেষ প্রতিবেদন

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১৪:৪৬, ৯ মার্চ ২০২৫

আপডেট: ১৪:৪৬, ৯ মার্চ ২০২৫

শিশু ধর্ষণ: ৩০ দিনের মধ্যে তদন্ত, ১৮০ দিনে বিচারের নির্দেশ

 

মাগুরায় আট বছরের এক শিশু ধর্ষণের ঘটনায় তদন্ত দ্রুত সম্পন্ন করে বিচারের আওতায় আনার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী, পুলিশকে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে তদন্ত শেষ করতে হবে এবং মাগুরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালকে ১৮০ দিনের মধ্যে বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার আদেশ দেওয়া হয়েছে।

এ ঘটনায় দায়ের করা রিট আবেদনের শুনানি শেষে আজ রোববার (১০ মার্চ) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এই নির্দেশনা দেন।

ভুক্তভোগী শিশুর নিরাপত্তা ও পুনর্বাসন

ভুক্তভোগী শিশু এবং তার ১৪ বছর বয়সী বড় বোনের স্বাস্থ্যসেবা, নিরাপত্তা ও কল্যাণ নিশ্চিত করতে সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। আদালতের আদেশ অনুযায়ী, তাদের মানসিক ও শারীরিক পুনর্বাসনের জন্য জরুরি চিকিৎসা ও সহায়তা দিতে হবে।

গোপনীয়তা নিশ্চিতের নির্দেশনা

শিশুটির পরিচয় প্রকাশ করা গুরুতর অপরাধ উল্লেখ করে আদালত সামাজিকমাধ্যম, সংবাদমাধ্যম ও অনলাইন পোর্টালগুলোকে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে শিশুটির ছবি ও ভিডিও অপসারণ করতে নির্দেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে, যেসব মিডিয়া ইতোমধ্যে শিশুটির ছবি প্রকাশ করেছে, তাদের বিরুদ্ধে তিন দিনের মধ্যে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি), পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারকে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।

প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তামিম খান জানিয়েছেন, আগামী ১৩ মার্চের মধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের আদালতের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

রিট আবেদন ও আদালতের পর্যবেক্ষণ

শিশুটির ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে এবং দ্রুত তদন্ত ও বিচার কার্যক্রম শেষ করার জন্য সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হামিদুল মিসবাহ ও মাহসিব হোসেন হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। আদালত পর্যবেক্ষণে বলেছেন, শিশু ও নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি।

হাইকোর্টের এই নির্দেশনার ফলে মামলাটির দ্রুত নিষ্পত্তির আশা করা হচ্ছে এবং একইসঙ্গে ভবিষ্যতে শিশু নির্যাতনের ঘটনায় দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দৃষ্টান্ত স্থাপন হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন আইন বিশেষজ্ঞরা।

শেয়ার বিজনেস24.কম