
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মানিকগঞ্জ-২ (সিঙ্গাইর, হরিরামপুর এবং মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা) থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য মমতাজ বেগমকে প্রার্থী দিয়েছে আওয়ামী লীগ। তার বিপক্ষে ভোটের মাঠে লড়াই করতে নামছেন দলেরই চারজন স্বতন্ত্র প্রার্থী। ফলে আসনে মমতাজের সঙ্গে নিজ দলের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের তুমুল ভোটের লড়াই হবে মনে করছেন স্থানীয়রা।
এবার দলের স্বতন্ত্র পার্থীদের ছাড়া দেওয়া নির্দেশ আছে দলের হাইকমান্ডের। এরপরই সারা দেশে একরকম আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ধুম পড়েছে। মানিকগঞ্জের দুইটি আসন থেকে দলীয় প্রার্থীর বিপক্ষে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন পাঁচজন। তাদের মধ্যে চারজনই মানিকগঞ্জ-২ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমের বিপক্ষে লড়বেন। দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের টিকিটে সহজেই এমপি নির্বাচিত হন মমতাজ বেগম। তবে এবার দলীয় টিকিট পেলেও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের রোষানলে পড়তে হচ্ছে তাকে।
স্থানীয়রা নেতাকর্মীরা জানান, সিংগাইর, হরিরামপুর ও মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার তিনটি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত মানিকগঞ্জ-২ আসন। এখানে এবার সিংগাইর উপজেলার দুবারের চেয়ারম্যান মুশফিকুর রহমান খান হান্নান স্বতন্ত্র পার্থী হচ্ছেন। এজন্য চেয়ারম্যান পদ ছেড়েছেন তিনি। এছাড়া আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক দেওয়ান শফিউল আরেফিন টুটুল এবং তার চাচাতো ভাই জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ দেওয়ান জাহিদ আহম্মেদ টুলু স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন। এদিকে হরিরামপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক দেওয়ান সাইদুর রহমানও ঘোষণা দিয়ে মমতাজের বিপক্ষে অবস্থানের কথা জানিয়ে দিয়েছেন। হরিরামপুর থেকে আরেক প্রার্থী হচ্ছেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন আহম্মেদ চঞ্চল। এছাড়া এই আসনে জাতীয় পার্টি থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এই আসন থেকে আরও একাধিক স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী দুই-একদিনের মধ্যেই তারা ঘোষণা দিতে পারেন।
এদিকে মানিকগঞ্জ-১ (শিবালয়-ঘিওর-দৌলতপুর) আসন থেকে দলীয় মনোনয়নপত্র না পেয়ে জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা যুবলীগের কেন্দ্রীয় সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সালাউদ্দিন মাহমুদ (এসএম জাহিদ) স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার জন্য ঘোষণা দিয়েছেন। এজন্য দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আশিকুর রহমান চৌধুরীর কার্যালয় থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন তিনি।
এই আসনে দুবারের নির্বাচিত ও বর্তমান সংসদ সদস্য বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক নাঈমুর রহমান দুর্জয়কে বাদ দিয়ে এবার মনোনয়ন পেয়েছেন মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম। তিনি ২০০১ সালে এই আসন থেকে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন পেয়ে জিততে পারেননি।
তবে মানিগঞ্জের তিনটি আসনের মধ্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের আসনে (মানিকগঞ্জ-৩) কোনো স্বতন্ত্র হওয়ার খবর এখনও নেই। এই আসন থেকে দলের কেউ স্বতন্ত্র প্রার্থী না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি বলে মনে করছেন স্থানীয় নেতাকর্মীরা।
শেয়ার বিজনেস24.কম