
নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের সুপারিশগুলো সমাজে গভীর বিতর্ক ও বিভাজন তৈরি করেছে—এমন মন্তব্য করে বক্তারা বলছেন, এই কমিশনের প্রস্তাবগুলো দেশের বাস্তবতা ও ধর্মীয় মূল্যবোধের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। তাই অবিলম্বে বর্তমান কমিশন বাতিল করে নতুন কমিশন গঠনের দাবি ওঠেছে।
বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ওয়ান ইনিশিয়েটিভ রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট আয়োজিত এক গোলটেবিল আলোচনায় বক্তারা বলেন, কমিশন পুনর্গঠনের ক্ষেত্রে সব মত ও ধর্ম-বিশ্বাসের নারীদের যুক্ত করতে হবে। ইসলামী চিন্তাবিদসহ সকল ধর্মাবলম্বীদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে হবে, যাতে সমাজের বৃহৎ জনগোষ্ঠীর মূল্যবোধকে সম্মান জানিয়ে কার্যকর ও গ্রহণযোগ্য প্রস্তাব আসতে পারে।
বক্তব্যে জামায়াত নেতা হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, নারী কমিশনের প্রস্তাব সরাসরি ষড়যন্ত্রের অংশ, যা রাষ্ট্র ও সরকারকে জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করাচ্ছে। ওয়ান ইনিশিয়েটিভের চেয়ারম্যান আবদুর রব বলেন, এই প্রস্তাব জাতিকে বিভাজনের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। অন্যান্য বক্তারাও বলেন, কমিশনের বেশিরভাগ সুপারিশ ইসলামী মূল্যবোধের পরিপন্থী এবং পরিবার ও সমাজে অস্থিরতা তৈরি করতে পারে।
বক্তারা যৌনকর্মীদের পুনর্বাসন, ইতিহাস পাঠ্যবইয়ে অবদানশীল নারীদের অন্তর্ভুক্তি, এবং পরিবারে পুরুষ-নারীর পারস্পরিক শ্রদ্ধা রক্ষার বিষয়গুলোও গুরুত্ব দেন।
সর্বসম্মতভাবে বক্তারা দাবি জানান, বিতর্কিত নারী সংস্কার কমিশন বাতিল করে একটি গ্রহণযোগ্য, ভারসাম্যপূর্ণ ও ধর্ম-সংবেদনশীল কমিশন দ্রুত গঠন করতে হবে।