facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ১৯ এপ্রিল শুক্রবার, ২০২৪

Walton

চিকুনগুনয়িা প্রতিরোধে রাস্তায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী


১৭ জুন ২০১৭ শনিবার, ০৬:৪৫  পিএম

শেয়ার বিজনেস24.কম


চিকুনগুনয়িা প্রতিরোধে রাস্তায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী

আতঙ্ক ছড়ানো চিকনগুনিয়া জ্বর রোধে রাজধানীর শতাধিক স্পটে সরকারি-বেসরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের প্রায় ১০ হাজার শিক্ষার্থী সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। তাদের সঙ্গে সমাজের বিশিষ্ট নাগরিকরাও যোগ দেন।

এ কার্যক্রমের কয়েকটিতে উপস্থিত থেকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, জনসচেতনতার মাধ্যমেই চিকনগুনিয়া প্রতিরোধ করা সম্ভব।

শনিবার সকাল ৯টা থেকে শুরু করে দুপুর ২টা পর্যন্ত সচেতনতামূলক এ কার্যক্রম চলে। সাদা অ্যাপ্রোন পরা মেডিক্যাল শিক্ষার্থীরা রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বাসা বাড়িতে গিয়েও বাসিন্দাদের এ রোগ সম্পর্কে সচেতন করেন। সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজ, ডেন্টাল কলেজ, নার্সিং ইনস্টিটিউট, ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজি, মেডিকেল অ্যাসিসট্যান্ট ট্রেনিং স্কুলসহ সব চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের প্রায় ১০ হাজার শিক্ষার্থী এ কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন।

রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকা, ধানমন্ডি ২ নং সড়ক এবং আজিমপুর সরকারি কলোনীর ভিতরে মেডিকেল শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এ সচেতনতামূলক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

এসময় তিনি বলেন, যে যার অবস্থান থেকে নিজের বাড়িঘর ও আশেপাশের এলাকা পরিষ্কার রাখলে এবং কোথাও পানি জমতে না দিলে এ চিকনগুনিয়া রোগ প্রতিরোধ সম্ভব। শুধু চিকনগুনিয়া নয় সব রোগ প্রতিরোধেই সবাইকে সচেতন হতে হবে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এডিস মশা থেকেই যেহেতু চিকনগুনিয়া রোগের ভাইরাস ছড়ায়, তাই এ মশার উৎপত্তিস্থল নিধন কার্যক্রম আমরা প্রতীকিভাবে শুরু করেছি। আমাদের এ অভিযানের মূল উদ্দেশ্য জনগণকে সচেতন করা। সবাইকে যার যার অবস্থান থেকে এডিস মশা নিধন কার্যক্রমে এগিয়ে আসতে হবে। প্রথমে একজন নাগরিককে নিজবাড়ি ও আশেপাশের এলাকায় লক্ষ্য রাখতে হবে কোথাও যাতে কোনো পানি জমে না থাকে। জনগণকে উদ্বুদ্ধ করার জন্যই আমরা এমন কর্মসূচি হাতে নিয়েছি বলেও জানান মন্ত্রী।

এসময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা) অধ্যাপক ডা. সানিয়া তাহমিনা, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. শেখ সালাহউদ্দিন ও বিশিষ্ট কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ডা. সানিয়া তাহমিনা বলেন, ‘আমরা চেয়েছিলাম ৯২টি স্পটে এ সচেতনতনতামূলক কার্যক্রম চালাবো। কিন্তু সেটি এখন আরও অনেক বেশি হয়েছে। সাধারণ মানুষকে সতর্ক করতেই আজকের এ কার্যক্রম। কেবল ঘরের বাইরে নয়, ঘরের ভেতরে অর্ধস্বচ্ছ পানি, ফুলের টব, ফেলে রাখা কৌটা বা বোতল, পানির ট্যাংক, ছাদে জমে থাকা পানি, পরিত্যক্ত টায়ার, আবর্জনারস্তুপ বা ডাবের খোসার ভেতরেও জন্ম নেয় এডিস মশা। সিটি করপোরেশনের কর্মীরা ঘরের ভেতরে ঢুকতে পারে না। তাই ঘরে ঘরে সচেতনতা ছড়িয়ে দিতে সাদা অ্যাপ্রোণ পরে মেডিকেল শিক্ষার্থীরা কাজ করেছে।’

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন: