
পুঁজিবাজারে ঝড় তুললো ১৫ দফা দাবি! প্রধান উপদেষ্টার দোরগোড়ায় ‘ক্যাপমিনাফ’
তারল্য সঙ্কট, আস্থা ফেরানো, শাস্তির দাবি ও বড় বরাদ্দ—সব কিছু এক চিঠিতে!
বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে তারল্য সঙ্কট, বিনিয়োগকারীদের আস্থা সংকট ও দীর্ঘমেয়াদি অস্থিরতা নিরসনে ১৫ দফা জোরালো দাবি উত্থাপন করেছে পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী জাতীয় ঐক্য ফাউন্ডেশন (ক্যাপমিনাফ)। সোমবার (১২ মে) এই দাবিপত্রটি লিখিতভাবে প্রধান উপদেষ্টার কাছে হস্তান্তর করা হয়।
প্রধান দাবিগুলোর সারাংশ:
-
৫০ হাজার কোটি টাকার বিশেষ বরাদ্দ: আসন্ন বাজেটে পুঁজিবাজার স্থিতিশীলতায় বড় বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।
-
১০% এর নিচে সুদের হার: ব্যাংক সুদ কমিয়ে বিনিয়োগে উৎসাহ দিতে হবে।
-
বিএসইসি চেয়ারম্যান অপসারণ: অভিজ্ঞ ও যোগ্য ব্যক্তিকে নিয়োগের দাবি।
-
বিদেশি ও বড় বিনিয়োগকারীদের জন্য ইনসেনটিভ: তারল্য বাড়াতে হবে।
-
দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি: সালমান এফ. রহমান ও হাসান তাহের ইমামের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা দাবি।
-
উদ্যোক্তাদের ৩০% শেয়ারধারণ নিশ্চিত করা।
-
আইসিবির ৩,০০০ কোটি টাকার ব্যয় স্বচ্ছভাবে প্রকাশ।
-
মিউচ্যুয়াল ফান্ডের জোরালো সক্রিয়তা নিশ্চিত।
-
লিস্টেড কোম্পানির দায়ী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনা।
-
আর্থিক প্রতিবেদন স্বচ্ছ ও ডিভিডেন্ডে উৎসাহ।
-
করমুক্ত আয়সীমা ৭ লাখ ও মার্জিন ঋণের সুদ মওকুফ।
-
মূলধনী মুনাফার কর ৫% নির্ধারণ।
-
মজবুত কোম্পানি তালিকাভুক্তি, দুর্বলদের বর্জন।
-
ইনভেস্টরস ওয়েলফেয়ার ফান্ড ও AGM বাধ্যতামূলক।
-
প্রতিমাসে সমন্বয় সভার প্রস্তাব।
সংগঠনের কণ্ঠস্বর:
ক্যাপমিনাফ সভাপতি রুহুল আমিন আকন্দ বলেন, “বর্তমানে পুঁজিবাজারে তারল্য সঙ্কট নিরসনে সরকারের সরাসরি হস্তক্ষেপ সময়ের দাবি। প্রতিবেশী দেশগুলোর মতো আমাদেরও দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হবে।”
বিশ্লেষণ ও প্রেক্ষাপট:
এই দাবিগুলোর পেছনে রয়েছে বিনিয়োগকারীদের দীর্ঘদিনের ক্ষোভ, হতাশা ও ক্ষতির অভিজ্ঞতা। সরকারের তরফ থেকে ইতিবাচক সাড়া এলে এটি বাজারে স্বস্তি ফেরাতে পারে। তবে দাবিগুলোর মধ্যে কিছু রাজনৈতিক অভিযোগ ও ব্যক্তিনির্দিষ্ট আক্রমণও রয়েছে, যা বিতর্ক তৈরি করতে পারে।
উপসংহার:
পুঁজিবাজারকে টেকসই ও বিনিয়োগবান্ধব করতে হলে বাস্তবভিত্তিক, স্বচ্ছ ও কার্যকর উদ্যোগ দরকার। ক্যাপমিনাফের এই দাবি তালিকা বিতর্কের জন্ম দিলেও, এটি সরকার ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার জন্য একটি জোরালো বার্তা—“বিনিয়োগকারীদের এখন বিশ্বাস ফেরানোর সময়।”