
শিশুর স্মৃতিশক্তি বাড়াতে হলে শারীরিক সুস্থতার পাশাপাশি মানসিক বিকাশেও নজর দেওয়া জরুরি। সাধারণত মা–বাবারা বিষয়টিকে গুরুত্ব দেন তখনই, যখন শিশু স্কুলে যেতে শুরু করে এবং পড়া মনে রাখতে সমস্যায় পড়ে। তবে শিশুর জন্মের পর প্রথম পাঁচ বছর হলো মস্তিষ্কের গঠন ও ধারণক্ষমতা বৃদ্ধির শ্রেষ্ঠ সময়। তাই এই সময় থেকেই কিছু করণীয় অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।
শিশুকে খেলার ছলে শেখানো সবচেয়ে কার্যকর উপায়। মেমোরি গেম, শব্দজট, ধাঁধা কিংবা শব্দ তৈরি ধরনের খেলা শিশুর শেখার আগ্রহ বাড়ায় ও তথ্য মনে রাখতে সাহায্য করে। এ ছাড়া শিশুকে বলা বিষয়গুলো কল্পনায় দেখার অভ্যাস করালে তার কল্পনাশক্তি ও স্মরণশক্তি দুটোই বাড়ে।
শিশুকে অন্যকে শেখানোর সুযোগ দিলে তার শেখা আরও গভীর হয়। যেমন, কোনো কিছু শিখে সে যদি সেটি বাড়ির অন্য কাউকে শেখায়, তাহলে তার নিজের মনে রাখাও সহজ হয়। পাশাপাশি পড়ার সময় গুরুত্বপূর্ণ অংশ হাইলাইট করে রাখা এবং তথ্যগুলো ছোট ছোট ভাগে ভাঙা শিশুর মনে রাখার ক্ষমতা বাড়ায়।
শিশুর শরীরচর্চা, খেলাধুলা এবং সুষম খাবার খাওয়ার অভ্যাসও স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সহায়ক। বিশেষ করে খাদ্যতালিকায় রাখতে হবে শাকসবজি, ডিম, মাছ, বাদাম ও ফলমূল। বাজারের প্রক্রিয়াজাত খাবার যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে। পাশাপাশি শিশুর বয়স অনুযায়ী ৮–১০ ঘণ্টা গভীর ঘুম নিশ্চিত করা উচিত।
যা করা উচিত নয়: শিশুকে কোনো কিছু নিয়ে অতিরিক্ত চাপ দেওয়া ঠিক নয়। তার প্রশ্নের উত্তর দেওয়া থেকে বিরত থাকলে বা বিরক্ত হলে শিশুর শেখার আগ্রহ কমে যেতে পারে। অতিরিক্ত প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশে রাখা এবং মোবাইল বা ট্যাবলেটের অতিরিক্ত ব্যবহারও মনোযোগ নষ্ট করে দিতে পারে।
সব চেষ্টা করেও যদি মনে রাখার সমস্যা থেকেই যায়, তাহলে শিশুকে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শে নেওয়া উচিত।