
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সোমবার রাতে নির্বাচন ভবনে এক ব্রিফিংয়ে এ ঘোষণা দেন নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ। তিনি জানান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে এবং এর ফলে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
আখতার আহমেদ বলেন, “আজ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, তার অঙ্গ সংগঠন এবং ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলোর কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এই নির্দেশনার ধারাবাহিকতায় ইলেকশন কমিশন আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমরা গেজেট নোটিফিকেশন জারি করেছি এবং সেটি বিজি প্রেস থেকে পাওয়া যাবে।”
এ বিষয়ে কেন আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত করা হলো, এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, “স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী আমরা এই পদক্ষেপ নিয়েছি।”
এরপর রাতে নির্বাচন কমিশন থেকে আরও একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এতে বলা হয়, সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯ এবং সংশোধিত সন্ত্রাসবিরোধী অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর ধারা ১৮(১)-এর অধীনে বাংলাদেশের আওয়ামী লীগ এবং এর সব অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে বিচার কার্যক্রম সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত তাদের প্রকাশনা, গণমাধ্যম, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, মিছিল, সভা-সমাবেশ এবং যেকোনো ধরনের প্রচারণা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তাই, আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এটা ছিল বাংলাদেশের সরকারের আজকের নির্দেশনা, যা রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগের কার্যক্রমের উপর বড় প্রভাব ফেলবে।