ঢাকা   শুক্রবার ০৯ মে ২০২৫, ২৫ বৈশাখ ১৪৩২

কমেছে মাছের দাম, বেড়েছে মরিচের

কেনাকাটা

প্রকাশিত: ১৭:৫১, ২ সেপ্টেম্বর ২০১৬

কমেছে মাছের দাম, বেড়েছে মরিচের

বাজারে মাছের সরবরাহ বাড়ায দামে কিছুটা স্বস্তি পাচ্ছেন ভোক্তারা। বিশেষ করে ইলিশ মাছের যোগান অন্য মাছের চেয়ে বেশি। ফলে ভোক্তারাও এই সুযোগ কাজে লাগাচ্ছেন।

তবে ব্রয়লার মুরগিসহ বেড়েছে সবজির দাম। এক সপ্তাহের ব্যবধানে কাঁচামরিচের দাম বেড়েছে কেজিতে ২০ টাকা। শাকসহ অন্যান্য সবজি কেজি প্রতি ২-৩ টাকা করে বেড়েছে।

শুক্রবার রাজধানীর মিরপুর এলাকার কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কয়েক দিন আগেও ইলিশের তেমন একটা দেখা না মিললেও বর্তমানে রাজধানীর মাছের বাজারগুলোতে পর্যাপ্ত ইলিশ এসেছে। বিক্রেতারা বলছেন, একদিকে নদীতে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ছে, অন্যদিকে আমদানিও বেড়েছে।

ছোট সাইজের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৪০০ টাকায়। এছাড়া অপেক্ষাকৃত বড় সাইজের প্রতিজোড়া ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকায়, মাঝারি সাইজের ১ হাজার থেকে ১৪০০ টাকায় এবং বড় সাইজের ১৬০০ থেকে ২২০০ টাকায়।

ইলিশ বিক্রেতা আজিজ বলেন, বছরের এই সময়টাতে প্রচুর ইলিশ পাওয়া যায়। এ কারণেই বাজারে ইলিশের আমদানি বেড়েছে। দামও আগের চেয়ে অনেক কম।

এছাড়া দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বন্যার প্রভাবে অন্যান্য মাছের আমদানিও বেড়েছে। এই মাছগুলোর মধ্যে প্রতি কেজি মাঝারি রুই ২৫০-৩০০ টাকায়, বড় রুই ৪০০-৫০০ টাকায়, তেলাপিয়া ১৫০-১৮০ টাকায়, পাঙ্গাস ১৩০-২২০ টাকায়, চাষের কৈ ২৫০-২৮০ টাকায়, সিলভার কার্প ১৫০-২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মিরপুরের বাসিন্দা আরিফা বেগম বলেন, বাজারে মাছের দাম খুব একটা কমেনি। তবে জাটকা ইলিশ এসেছে বেশ। এক কেজি ইলিশ ৩৪০ টাকায় কিনলাম। ৫টি উঠেছে। তিনি বলেন, দাম বেশি থাকায় অন্যান্য সময়ে ইলিশ কেনা হয় না। এখন দাম একটু কম। তাই কিনলাম।

ব্রয়লার মুরগিসহ কাঁচা সবজির দামও বেড়েছে। কাঁচামরিচের দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ২০ টাকা। আগের সপ্তাহে ৬০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বিক্রেতা মমিন বলেন, পাইকারি বাজারে গত পরশুও কাঁচা মরিচের দাম কম ছিল। দু’দিনে কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে। কারওয়ান বাজার থেকে এগুলো আনতে পরিবহন ব্যয়ও আছে। ফলে আমরা ৮০ টাকায় বিক্রি করছি।

এদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ২ থেকে ৩ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সবজির দাম। সবজির মধ্যে টমেটো কেজিপ্রতি ৮০ থেকে ৮৫ টাকায়, করলা ৬০ টাকায়, পেঁপে ৩০ টাকায়, ঝিঙা ৫০ টাকায়, কাকরোল ৪০ টাকায়, বেগুন ৫০ থেকে ৬০ টাকায়, কচুরমুখী ৪০ টাকায়, ঢেঁড়স ৪০-৫০ টাকায়, কচুর লতি ৫০ টাকায়, আলু ২৫-২৮ টাকায়, পটল ৪০ টাকায়, আমদানি করা গাজর ১২০ টাকায় এবং বাধা ও ফুলকপি পিস ২৫-৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া প্রতি হালি লেবু ২৫-৩০ টাকা এবং কাঁচকলা হালি ৩০-৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এদিতে ব্রয়লার মুরগির দাম আগের চেয়ে কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে। এখন ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ১৪০ টাকায়, পাকিস্তানি মুরগি প্রতি পিস ২৫০ টাকায়, দেশি প্রতি পিস ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায়। তবে গরুর মাংসের দাম আছে আগের মতই। প্রতিকেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৪২০ টাকায়। এছাড়া ডিমের মধ্যে হালিপ্রতি ফার্মের লাল ডিম ৩২ টাকায়, হাসের ডিম ৪০ টাকায় এবং দেশি মুরগির ডিম ৫৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও মসলার বাজার ঘুরে দেখা যায়, পেঁয়াজের মধ্যে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৮ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে। এছাড়া আমদানি করা পেঁয়াজ ২৫ থেকে ৩০ টাকায়, রসুন ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকায়, আদা মানভেদে ৭৫ থেকে ১২০ টাকায়, দারুচিনি ৩০০ টাকায়, এলাচ মানভেদে ১ হাজার থেকে ১৪০০ টাকায়, লবঙ্গ ১৫০০ টাকায়, জিরা ৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

শেয়ার বিজনেস24.কম