
ছোট জায়গায় নতুন অফিস গুছিয়ে নেওয়া নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য এক বড় চ্যালেঞ্জ। বাজেট সীমিত, জায়গা ছোট—তবু স্বপ্ন বিশাল। তাই ব্যক্তিগত বা পারিবারিক উদ্যোগে গড়ে ওঠা ছোট অফিসে পরিকল্পিত অন্দরসজ্জা খুব জরুরি। হাতিলের পরিচালক সফিকুর রহমান এমন কিছু সহজ কিন্তু কার্যকরী সাজানোর কৌশল দিয়েছেন, যা ছোট অফিসকেও দিতে পারে পেশাদার ও স্বাচ্ছন্দ্যময় রূপ।
কম জায়গায় খোলামেলা ভাব
ছোট অফিস মানেই যেন জায়গার ঘাটতি। এই সমস্যা কাটাতে সাহায্য করতে পারে খোলামেলা ওয়ার্কস্টেশন। আধুনিক ও হালকা নকশার ফার্নিচার যেমন চেয়ারে দীর্ঘক্ষণ আরামে কাজ করা যায়, তেমনই জায়গাও কম লাগে। আর্গোনোমিক চেয়ারে সঠিক দেহভঙ্গি বজায় রাখা সম্ভব, যা ঘাড় ও কোমরের ব্যথা এড়াতে সহায়ক। স্বস্তিদায়ক কর্মপরিবেশ তৈরি করতে এই চেয়ারের গুরুত্ব অপরিসীম।
আসবাবে ভার না, ভারসাম্য
ছোট অফিসে ভারী আসবাব না রেখে বেছে নিন হালকা কাঠামোর ফার্নিচার। প্রয়োজনমাফিক ফাইল কেবিনেট ও খোলা তাক ব্যবহার করতে পারেন, যেখানে প্রয়োজনীয় নথি ও বইপত্র রাখা যাবে। কর্মীদের ব্যক্তিগত লকার ডেস্কের নিচেই রাখলে আলাদা জায়গা নষ্ট হবে না। অতিরিক্ত আসবাব না রেখে অফিসকে রাখুন পরিপাটি ও প্রশান্তিদায়ক।
এক কোণে বিরতির বন্দোবস্ত
অফিসের এক কোণ সাজিয়ে নিন আরামদায়ক আড্ডার জন্য। ছোট টেবিল, কয়েকটি চেয়ার বা হালকা নকশার সোফা রাখুন সেখানে। কাজের মাঝে কর্মীরা সেখানে চা-কফি খেতে পারেন, বিশ্রাম নিতে পারেন। একই জায়গায় চাইলে গ্রাহকের সঙ্গেও আলোচনা সেরে নেওয়া যাবে। জায়গাটা যদি পরিপাটি ও মনোরম রাখা যায়, তাহলে সেটা হবে অফিসের প্রাণকেন্দ্র।
সবুজে ছোঁয়া, প্রাণে আলো
একটু সবুজ মানেই অফিসে প্রাণের ছোঁয়া। ছোট ছোট ইনডোর গাছ রাখুন ডেস্ক বা জানালার ধারে। বোতলে বা টবে রাখা গাছ দেখতেও ভালো লাগে, পরিবেশও রাখে সতেজ। যদি প্রাকৃতিক আলো প্রবেশ করে, তাহলে সেটাকে কাজে লাগান। এতে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ও হবে, কর্মপরিবেশও হয়ে উঠবে স্বস্তিদায়ক।
ছোট অফিস মানেই সীমাবদ্ধতা নয়। সঠিক পরিকল্পনা আর কিছু সৃজনশীল ছোঁয়ায় এই সীমাবদ্ধতার মধ্যেই গড়ে উঠতে পারে একটি স্মার্ট ও কার্যকর কর্মক্ষেত্র—যেখানে স্বপ্নের পথচলা শুরু হয়।