দেশের শেয়ারবাজারে টানা বিক্রিমুখী প্রবণতা আজও (২৬ মে) অব্যাহত ছিল, বিশেষ করে ‘এ’ ক্যাটাগরির শেয়ারগুলো ছিল প্রধান চাপের মুখে। আগের কার্যদিবসের ধারাবাহিকতায় আজও বাজারে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ব্যাপক আস্থাহীনতা লক্ষ্য করা গেছে। দিনের শুরুতে কিছুটা চাঙ্গাভাব দেখা গেলেও লেনদেন শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই বাজারে মন্দাভাব স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আজ ১৬.৯৫ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৭১৯.৩৮ পয়েন্টে, যা গত সোয়া দশ বছরের মধ্যে সূচকের সর্বনিম্ন অবস্থান। এই অবস্থান থেকেই বাজারের সামগ্রিক দুর্বলতা ও ক্রমবর্ধমান উদ্বেগের চিত্র উঠে আসে।
আজ ডিএসইতে মোট ৩৯৩টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যার মধ্যে ১৬৮টি শেয়ারের দাম কমেছে। দরপতনের শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় ৫টিই ছিল ‘এ’ ক্যাটাগরির, যা ইঙ্গিত দেয় যে বিনিয়োগকারীরা আস্থার জায়গায় থাকা শেয়ারগুলো থেকেও দ্রুত সরে আসছেন।
আজকের দরপতনে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ব্র্যাক ব্যাংক, যার শেয়ারদর ৫ টাকা ১০ পয়সা বা ৯.৮৩ শতাংশ কমে গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৪৬ টাকা ৮০ পয়সায়। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দরপতন হয়েছে এনআরবি ব্যাংকের, যার শেয়ারদর ৮০ পয়সা বা ৭.১৪ শতাংশ কমে গিয়ে দাঁড়ায় ৭ টাকায়। তৃতীয় সর্বোচ্চ পতন হয়েছে রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্সের, যার শেয়ারদর কমেছে ১ টাকা ৭০ পয়সা বা ৬.৩৭ শতাংশ এবং দাঁড়িয়েছে ২৫ টাকায়।
এছাড়া দরপতনের তালিকায় রয়েছে এসইএমএল লেকচার ফান্ড ও ইউসিবি (UCB)। যথাক্রমে এই দুটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারদর কমেছে ৭০ পয়সা বা ৫.৭৯ শতাংশ এবং ৫০ পয়সা বা ৪.৭৯ শতাংশ।
বিশ্লেষকদের মতে, ‘এ’ ক্যাটাগরির মতো fundamentally strong শেয়ারগুলোর ওপর বিক্রির চাপ বাজারে গভীর আস্থাহীনতা ও অনিশ্চয়তার প্রতিফলন। তারা বলছেন, বাজারকে পুনরুজ্জীবিত করতে নিয়ন্ত্রক সংস্থার আরও বাস্তবমুখী, দ্রুত এবং বিশ্বাসযোগ্য পদক্ষেপ প্রয়োজন। না হলে এভাবে চলতে থাকলে বাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদে প্রতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদেরও সরে যাওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে।
