ঢাকা   বুধবার ২৮ মে ২০২৫, ১৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

কুষ্টিয়ায় গা ঢাকা দিয়ে ধরা পড়লেন শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন

গ্রামবাংলা

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত: ২২:৪৯, ২৭ মে ২০২৫

কুষ্টিয়ায় গা ঢাকা দিয়ে ধরা পড়লেন শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন

বাংলাদেশের কুখ্যাত শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন অবশেষে সেনাবাহিনীর হাতে ধরা পড়েছেন কুষ্টিয়ার কালীশংকরপুরে। ইন্টারপোলের রেড নোটিশধারী এই অপরাধীকে আটক করতে সেনাবাহিনী মঙ্গলবার (২৭ মে) সকাল ৮টা থেকে প্রায় তিন ঘণ্টা শ্বাসরুদ্ধকর অভিযান চালায়। কালীশংকরপুর এলাকার সোনার বাংলা মসজিদ সংলগ্ন একটি বাসা থেকে সহযোগীসহ গ্রেপ্তার করা হয় সুব্রত বাইনকে।

স্থানীয়রা জানান, ঈদের কিছুদিন পর কৌশলে তিন রুমের একটি বাসা ভাড়া নেন সুব্রত ও তার সঙ্গী মোল্লা মাসুদ। ব্যবসায়ীদের অতিথি হিসেবে পরিচয় দিয়ে ভাড়া নেওয়া হয় মীর মহিউদ্দিনের তিনতলা বাড়ির নিচতলা। বাড়ির ওপরের তলায় থাকতেন কিছু ছাত্র, যাদের মাধ্যমে ভাড়া উত্তোলন করা হতো। ছাত্রদের একজন জানান, হেলাল উদ্দিন নামে এক ব্যক্তি বাসার ভাড়া দিতেন এবং জানান তার 'গেস্ট' বাসায় থাকবেন। এখন হেলাল পলাতক, তার বাড়িতেও কাউকে পাওয়া যাচ্ছে না।

ঘটনার দিন ভোরে এলাকাবাসী ফজরের নামাজে গেলে সেনাবাহিনী পুরো এলাকা ঘিরে ফেলে। স্থানীয়দের অবস্থানে থাকতে বলা হয় এবং তল্লাশি শুরু হয়। অভিযানের একপর্যায়ে কালো একটি মাইক্রোবাসে চারজনকে তুলে নেওয়া হয়। দেখা যায়, একজনের হাতে হ্যান্ডকাফ ও আরেকজনকে দড়ি দিয়ে বাঁধা।

নিচতলায় কে থাকেন—তা জানতেন না পাশের মেসের ছাত্ররা। কেউ ধারণাও করতে পারেননি, বাংলাদেশের ৩০টি খুনের মামলার আসামি সুব্রত বাইন তাদের পাশেই ছিলেন প্রায় দুই মাস। মোল্লা মাসুদ নামে একজন নিয়মিত খাবার আনতেন, কিন্তু কারো সঙ্গে কথা বলতেন না।

উল্লেখ্য, ঢাকার অপরাধজগতের কুখ্যাত 'সেভেন স্টার গ্রুপ'-এর নেতা সুব্রত বাইন ১৯৯১ সালে আলোচনায় আসেন জাসদ ছাত্রলীগ নেতা মুরাদকে খুনের মাধ্যমে। পরবর্তী এক দশকে ভয়ঙ্কর সব অপরাধে জড়িয়ে পড়েন তিনি। ২০০৩ সালে পালিয়ে ভারতে চলে যান। তার মাথার ওপর এক সময় সরকার পুরস্কার ঘোষণা করেছিল। এবার দীর্ঘ পালানোর অবসান হলো কুষ্টিয়ায় সেনাবাহিনীর দক্ষ অভিযানে।