
কোরবানির মূল উদ্দেশ্য আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন এবং ইবাদতের মাধ্যমে ত্যাগের মহিমা প্রকাশ করা। তাই এই ইবাদত বিশুদ্ধ রাখতে হলে পশুও হতে হবে দোষ–ত্রুটিমুক্ত। ইসলামic বিধান অনুযায়ী, শারীরিকভাবে অক্ষম বা গুরুতর ত্রুটিযুক্ত পশু দিয়ে কোরবানি করা জায়েজ নয়।
আল্লাহ তাআলা কোরবানির প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমি সব জাতির জন্য কোরবানির বিধান রেখেছি, যেন তারা জীবিকারূপে দান করা চতুষ্পদ জন্তু জবাই করার সময় আল্লাহর নাম স্মরণ করে।’ (সুরা হজ, আয়াত ৩৪)।
রাসুলুল্লাহ (সা.) নিজেও শিংযুক্ত, সুস্থ ও মোটা-তাজা একটি মেষ কোরবানি করেছিলেন যার চেহারা, চোখ ও পা ছিল কালো রঙের। তাঁর এই আমল আমাদের জন্য আদর্শ।
নিচে কোরবানির অযোগ্য পশুর কিছু বৈশিষ্ট্য তুলে ধরা হলো:
১. অন্ধ বা একেবারে দৃষ্টিশক্তিহীন পশু
২. গুরুতর অসুস্থ বা রোগাক্রান্ত পশু
৩. পঙ্গু, অর্থাৎ যে পশু স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে পারে না
৪. হাড় ভাঙা বা গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত পশু
৫. সম্পূর্ণ দাঁতবিহীন বা এত বেশি দাঁত পড়ে গেছে যে খাবার চিবাতে অক্ষম
৬. শিং গোড়া থেকে ভেঙে যাওয়া, যার ফলে মস্তিষ্ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে
৭. অর্ধেক বা তার বেশি কান বা লেজ কাটা পশু (তবে জন্মগতভাবে ছোট হলে সমস্যা নেই)
৮. কান ছেঁড়া, কাটা বা তাতে গোলাকার ছিদ্র করা পশু
হজরত আলী (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) নির্দেশ দিয়েছেন কোরবানির পশুর চোখ ও কান ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করতে এবং যেসব পশুর কানে ছিদ্র বা কাটা রয়েছে তাদের দিয়ে কোরবানি না করতে।
করণীয়
পশু কেনার সময় যতটা সম্ভব সতর্ক থাকতে হবে। ত্রুটিযুক্ত পশু দিয়ে কোরবানি করলে তা ইবাদত হিসেবে গ্রহণযোগ্য হবে না।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে এই ইবাদতের গুরুত্ব বুঝে যথাযথভাবে পালন করার তাওফিক দিন।