
নির্বাচনকে ভারতের এজেন্ডা বলে প্রচার করা অত্যন্ত বিপজ্জনক—এমন মন্তব্য করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। তিনি বলেন, “আমাদের নিজেদের প্রয়োজনেই বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন দরকার। এটি ভারতের পছন্দের বিষয় নয়, বরং জনগণের অধিকার।” আজ জাতীয় প্রেসক্লাবে দলের প্রয়াত নেতা অ্যাডভোকেট আবদুস সালামের মৃত্যুবার্ষিকীতে আয়োজিত স্মরণসভায় এসব কথা বলেন তিনি।
সাকি বলেন, ভারতের কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তি বা মিডিয়া নির্বাচন নিয়ে মত দিলে, তা ধরে নেওয়া যায় না যে বাংলাদেশের ভেতরে সেই দাবি ভারতের এজেন্ডা। বরং এই প্রচারণা জনগণের মধ্যকার ঐক্য বিনষ্ট করে, যা পরোক্ষভাবে ফ্যাসিস্ট শক্তিকেই সহায়তা করে। তিনি অভিযোগ করেন, ভারতীয় পৃষ্ঠপোষকতায় বর্তমান সরকার দেশে ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠা করেছিল, আর এখন এই ‘এজেন্ডা তত্ত্ব’ সেই অতীতকেই বৈধতা দিচ্ছে।
সভায় বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সেক্রেটারি সাইফুল হক বলেন, যারা শেখ হাসিনাকে ফ্যাসিস্ট করে তুলতে সাহায্য করেছিল, তারা এখন নতুনভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়। গণ-আন্দোলনের পক্ষে থাকা দলগুলোর মধ্যেই এখন বিভ্রান্তি ও বিশ্বাসহীনতা তৈরি হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এবি পার্টির সভাপতি মজিবর রহমান মঞ্জু বলেন, প্রধান উপদেষ্টা রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐক্য সৃষ্টি করতে ব্যর্থ হয়েছেন। বরং বিভক্তি তৈরি হয়েছে তাঁর দায়িত্বের মধ্য দিয়েই। অন্যদিকে গণ অধিকার পরিষদের নেতা রাশেদ খান বলেন, প্রধান উপদেষ্টাকে দেশের সব দলের বাস্তব অবস্থান বুঝে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন জেএসডি, রাষ্ট্রসংস্কার আন্দোলন, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা।
অনুষ্ঠানে বক্তারা দ্রুত সময়ের মধ্যে নিরপেক্ষ বিচারব্যবস্থা, সাংবিধানিক সংস্কার ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি জানান।