ঢাকা   বুধবার ০৪ জুন ২০২৫, ২১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

কালোটাকা সাদা করার বিধানে দুর্নীতির ছাড়পত্র: টিআইবি

অর্থ ও বাণিজ্য

শেয়ারবিজনেস ডেস্ক

প্রকাশিত: ২৩:৪২, ২ জুন ২০২৫

সর্বশেষ

কালোটাকা সাদা করার বিধানে দুর্নীতির ছাড়পত্র: টিআইবি

২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। সংস্থাটির মতে, এই সিদ্ধান্ত রাষ্ট্রীয় দুর্নীতিবিরোধী সংস্কারের পুরো প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে এবং সংবিধানের মূল নীতিমালার বিরোধিতা করে দুর্নীতিকে বৈধতা দিয়েছে।

সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, বাজেটে কালোটাকার বৈধতা দেওয়ার মাধ্যমে সরকার রিয়েল এস্টেট লবির চাপের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। তিনি বলেন, এটি শুধু অনৈতিকই নয়, বরং সংবিধানের ২০(২) অনুচ্ছেদের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন, যেখানে বলা হয়েছে, অনুপার্জিত আয় অবৈধ।

ড. ইফতেখারুজ্জামান আরও বলেন, কালোটাকা সাদা করার সুযোগ বৈষম্যমূলক। এটি সৎ উপার্জনকারীদের বিপরীতে অবৈধ অর্থের মালিকদের একচেটিয়া সুবিধা দিচ্ছে। এতে আবাসন খাতে বৈধভাবে ফ্ল্যাট বা সম্পদ কেনার স্বপ্ন অনেকের জন্য দূরাশা হয়ে উঠবে।

সরকারের এমন পদক্ষেপ দুর্নীতিকে উৎসাহ দেবে উল্লেখ করে টিআইবি বলেছে, এতে নাগরিকদের জন্য বার্তা যাচ্ছে—বছরজুড়ে কালোটাকা উপার্জন করো, বাজেটে বৈধতার সুযোগ পাবে। দেশের সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত খাত হিসেবে আবাসন খাতকে চিহ্নিত করে সংস্থাটি বলেছে, এই সিদ্ধান্ত সেই দুর্নীতিকেই প্রশ্রয় দিচ্ছে।

এছাড়া বাজেট বক্তৃতায় পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার বিষয়ে কোনো সুস্পষ্ট কৌশল না থাকার বিষয়টি হতাশাজনক বলে মন্তব্য করেছে টিআইবি। এমনকি যারা বাংলাদেশ থেকে অর্থ পাচার করে নাগরিকত্ব ত্যাগ করেছেন, তাঁদের অর্থ-সম্পদে কর ও জরিমানার বিধান থাকলেও বাস্তবায়ন পদ্ধতি অজানা বলেও মন্তব্য করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে অবিলম্বে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ বাতিল, উৎস অনুসন্ধান করে দায়ীদের জবাবদিহির আওতায় আনা এবং করব্যবস্থায় সমতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছে টিআইবি। সংস্থাটি মনে করে, বাজেটে রাজস্ব আদায়ের নীতি ও ব্যবস্থাপনার মধ্যে স্বচ্ছ কৌশল না থাকায় রাষ্ট্রীয় জবাবদিহিতাও ঝুঁকির মুখে পড়বে।

সর্বশেষ