২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটকে ব্যবসা ও বিনিয়োগবান্ধব মনে করছে না ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)। আজ সোমবার সন্ধ্যায় বাজেট নিয়ে এক তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সংস্থাটির সভাপতি তাসকীন আহমেদ বলেন, এবারের বাজেটে বিনিয়োগ সম্প্রসারণ, ব্যবসা পরিবেশ উন্নয়ন, সিএমএসএমই খাত ও ব্যাংকিং ব্যবস্থার সংস্কারে কোনো কার্যকর দিকনির্দেশনা নেই।
তাঁর মতে, সুদের হার হ্রাস ও বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবাহ নিশ্চিত করার ব্যাপারে কোনো অগ্রাধিকার দেখা যায়নি। বরং বাজেটে ঘাটতি মেটাতে অতিমাত্রায় ব্যাংকনির্ভরতা ব্যবসার গতি কমাতে পারে। মূল্যস্ফীতির লাগাম টানার কিছু উদ্যোগ থাকলেও কার্যকর মূলধন সংকুচিত হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে আমদানিকৃত করমুক্ত পণ্যের ওপর ২ শতাংশ অগ্রিম আয়কর আরোপ ব্যবসার খরচ বাড়াবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
মধ্যবিত্তদের ওপর করের বোঝা বাড়ার বিষয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করে তাসকীন আহমেদ বলেন, ব্যক্তিগত আয়ের ক্ষেত্রে ৫ শতাংশ করসীমা প্রত্যাহারের ফলে প্রায় ৫০ শতাংশ মধ্যবিত্ত পরিবারের ওপর বাড়তি চাপ পড়বে। টার্নওভার কর বাড়িয়ে ১ শতাংশ করার প্রস্তাবকেও পুনর্বিবেচনার দাবি জানান তিনি।
অটোমোবাইল খাতে যন্ত্রাংশ আমদানির শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ করায় স্থানীয় উৎপাদন খরচ বেড়ে যাবে বলেও মন্তব্য করেন তাসকীন আহমেদ। মোবাইল ফোন উৎপাদনে ভ্যাট বৃদ্ধির সিদ্ধান্তকেও শিল্প বিকাশে প্রতিবন্ধক বলে উল্লেখ করেন তিনি।
তবে কিছু ইতিবাচক দিকও তুলে ধরেন ডিসিসিআই সভাপতি। এলএনজি ও ব্যবসার কাঁচামাল আমদানিতে কর কমানোর সিদ্ধান্ত মূল্যস্ফীতি সাময়িকভাবে কমাতে সহায়ক হতে পারে বলে মনে করছেন তিনি। স্টার্টআপ খাতে ১০০ কোটি টাকার তহবিল গঠনের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেও, ই-কমার্স লেনদেনে ভ্যাট তিন গুণ বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করায় ডিজিটাল উদ্যোক্তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন বলে মত দেন তাসকীন আহমেদ।
সব মিলিয়ে ডিসিসিআই মনে করে, ঘোষিত বাজেট কাঙ্ক্ষিত ব্যবসা ও বিনিয়োগবান্ধব কাঠামো গড়ে তুলতে ব্যর্থ হয়েছে এবং এতে দেশের অর্থনৈতিক গতিশীলতা ব্যাহত হতে পারে।
