রাষ্ট্রের মৌলিক কাঠামোগত সংস্কার প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আজ সোমবার শুরু হচ্ছে ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় দফার আলোচনা। বিকেল ৪টায় বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস একাডেমি মিলনায়তনে এ আলোচনার সূচনা করবেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রধান ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
ঐকমত্য কমিশন সূত্রে জানা গেছে, আজকের আলোচনা শেষে ধারাবাহিকভাবে বিষয়ভিত্তিক সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে। পবিত্র ঈদুল আজহার আগে একটি এবং ঈদের পরে কয়েকটি দফায় এসব আলোচনা চলবে। বিশেষভাবে আলোচনায় গুরুত্ব পাবে সংবিধান সংস্কার কমিশনের অমীমাংসিত মৌলিক প্রস্তাবগুলো। আলোচনার মধ্য দিয়ে আগামী জুলাই মাসে একটি সর্বদলীয় গ্রহণযোগ্য ‘জুলাই সনদ’ চূড়ান্ত করার লক্ষ্য রয়েছে কমিশনের।
এ প্রসঙ্গে গতকাল প্রধান উপদেষ্টার জাপান সফর-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে উপ-প্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার জানান, দ্বিতীয় পর্যায়ের এ আলোচনায় সংশ্লিষ্ট সব রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
এর আগে গত বছর অক্টোবরে অন্তর্বর্তী সরকার সংবিধান, নির্বাচন ব্যবস্থা, জনপ্রশাসন, বিচার বিভাগ, দুর্নীতি দমন কমিশন ও পুলিশ সংস্কারের জন্য ছয়টি কমিশন গঠন করে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে কমিশনগুলো তাদের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন জমা দেয়। এরপর ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রথম পর্বের আলোচনা।
গত ২৬ মে কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, ক্ষমতার ভারসাম্যসহ বেশ কিছু সাংবিধানিক বিষয়ে এখনো রাজনৈতিক ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়নি। এর মধ্যে রয়েছে—বিচার বিভাগের বিকেন্দ্রীকরণ, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগ ও মেয়াদ, জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল (এনসিসি) গঠন, প্রধানমন্ত্রী বা সংসদ সদস্যদের পদ সীমা, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের পদ্ধতি এবং সংবিধান সংশোধন প্রক্রিয়ার কাঠামো। তবে এসব বিষয়ে দলগুলোর মধ্যে আলোচনার ইচ্ছা ও নমনীয়তা রয়েছে বলেও জানায় কমিশন।
