ঢাকা   মঙ্গলবার ১৩ মে ২০২৫, ২৯ বৈশাখ ১৪৩২

গরমে কখন গোসল করবেন? স্বাস্থ্যকর সময় বেছে নিন আরাম পেতে

গরমে কখন গোসল করবেন? স্বাস্থ্যকর সময় বেছে নিন আরাম পেতে

চলমান গরমে একটু ঠান্ডা পানির ছোঁয়াতেই প্রশান্তি মেলে। অনেকেই দিনে একাধিকবার গোসল করে থাকেন, কিন্তু প্রতিদিন কতবার এবং কখন গোসল করা সবচেয়ে উপকারী, তা অনেকেই জানেন না। বিশেষজ্ঞদের মতে, দৈনিক একবার গোসলই যথেষ্ট—তা সময় ও পরিস্থিতি বুঝে নেওয়া উচিত।

গোসলের সঠিক সংখ্যা ও স্বাস্থ্যঝুঁকি:
প্রচণ্ড গরমে একাধিকবার গোসল করলে সাময়িক স্বস্তি পাওয়া গেলেও, এটি ত্বকের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। বারবার পানি ব্যবহারে ত্বকের প্রাকৃতিক আর্দ্রতা এবং উপকারী জীবাণু নষ্ট হয়ে যেতে পারে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা তাই পরামর্শ দেন, প্রতিদিন একবার গোসলই যথেষ্ট। একই সঙ্গে অতিরিক্ত পানি ব্যবহারের ফলে পরিবেশে পানির অপচয়ও বাড়ে, যা আজকের বিশ্বে বড় চ্যালেঞ্জ।

সঠিক সময় কখন?
বাইরে থেকে এসে, শরীরে ধুলাবালি বা ঘাম লেগে থাকলে, গোসল করাই উচিত। তবে অনেকেই রাতে ঘুমানোর আগে গোসল করেন, যা প্রশান্তি দিলেও বিকেল বা সন্ধ্যায় গোসল করলে তাপমাত্রা কিছুটা কমে আসে এবং ঘুমেও ভালো সাহায্য করে। সারা দিন বাড়িতে থাকলে দুপুরবেলা গোসল করাই সবচেয়ে উপযুক্ত সময়। বিশেষ করে রান্না বা ঘরের কাজ শেষে এ সময়টা বেশি আরামদায়ক হয়।

পানির সাশ্রয় ও কৌশলী ব্যবহার:
দুপুর বা বিকেলের দিকে রোদের কারণে পানি অনেক সময় গরম হয়ে যায়। তাই সকালেই বালতিতে পানি তুলে ঢেকে রাখলে পরে তা ঠান্ডা পানির মতো ব্যবহার করা যায়। বাথটাব বা শাওয়ারে গোসল না করে বালতির পানি ব্যবহার করলে যেমন পানির অপচয় কমে, তেমনি ময়লা জমে গেলে তলানির পানি গাছে ব্যবহার করাও সম্ভব।

যাঁদের নির্দিষ্ট অভ্যাস আছে:
অনেকেই সকালে বা রাতে গোসল ছাড়া অভ্যস্ত নন। সেক্ষেত্রে সেই সময় গোসল করলেও ক্ষতি নেই। তবে বাইরে থেকে ফিরে গোসল সম্ভব না হলে অন্তত হাত-মুখ ভালোভাবে ধুয়ে নেওয়া উচিত। পাতলা সুতি ফুলহাতা পোশাক ও পায়জামা পরে বাইরে বের হলে রোদের ক্ষতিকর প্রভাব অনেকটাই কমে আসে। ঘামে ভেজা শরীর মুছে নেওয়া, বগল বা ঘাড়ে ভেজা কাপড় চেপে ধরা এবং বরফের প্যাক ব্যবহার করেও শরীর ঠান্ডা রাখা যায়।


গরমে গোসল মানেই আরাম, তবে তা হতে হবে স্বাস্থ্যসম্মত এবং সচেতনতার সঙ্গে। দিনের যেকোনো সময়ই গোসল করা যেতে পারে, কিন্তু তা হতে হবে সময়োপযোগী ও পানির অপচয়হীন। সতর্কতা ও পরিকল্পনায় গরমের এই কষ্টকর সময়েও থাকতে পারেন স্বস্তিতে।