
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং এর সকল অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের কার্যক্রম আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। আজ সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত সন্ত্রাসবিরোধী (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫ অনুযায়ী নেয়া হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগ এবং এর সকল সংগঠনের সদস্যরা বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোনো ধরনের প্রচারণা, মিছিল, সভা-সমাবেশ, সম্মেলন, অনলাইন বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কোনো কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে না। একইসাথে, সন্ত্রাসবিরোধী আইনে যুক্ত হওয়া সংশোধনীর পর, সত্তার কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার বিধানও বাস্তবায়িত হয়েছে।
এছাড়া, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমন এবং দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য সন্ত্রাসবিরোধী আইন প্রয়োগ করে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আইন সংশোধন করে রাজনৈতিক দলের নেতাদের বিচারের আওতায় আনার সিদ্ধান্তও উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে গৃহীত হয়েছিল।
এই নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে দলটির নেতাদের বিচারকাজে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি, জনমনে আতঙ্ক এবং রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করার লক্ষ্যে সন্ত্রাসী কার্যক্রমের অভিযোগ তোলা হয়েছে। সরকারের দাবি, এসব অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে দলের সদস্যরা জড়িত।
এভাবে আওয়ামী লীগের সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে, যা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এবং দেশের ফৌজদারি আদালতে চলমান মামলাগুলোর ভিত্তিতে কার্যকর হবে।