facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ১০ অক্টোবর বৃহস্পতিবার, ২০২৪

marcelbd

সুখবর পেলো লাফার্জহোলসিম


১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ রবিবার, ০৯:৩৪  এএম

স্টাফ রিপোর্টার

শেয়ার বিজনেস24.কম


সুখবর পেলো লাফার্জহোলসিম

বছর দুয়েক আগে গ্যাস বিল বাবদ ৯০ কোটি ২৫ লাখ টাকা জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেমস লিমিটেডের (জেজিটিডিএস) অনুকূলে পরিশোধের জন্য তালিকাভুক্ত কোম্পানি লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ লিমিটেডকে (এলএইচবিএল) নির্দেশ দিয়েছিলেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। তবে সালিশি আদালতের রায় এলএইচবিএলের অনুকূলে আসায় এবার জেজিটিডিএসকে গ্যাস বিল বাবদ নেয়া অতিরিক্ত অর্থ তালিকাভুক্ত কোম্পানিটিকে ফেরত দিতে হবে। এলএইচবিএল সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

গত শুক্রবার অনুষ্ঠিত সভায় সালিশি আদালতের রায়ের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট পক্ষ ও শেয়ারহোল্ডারদের অবহিত করার সিদ্ধান্ত নেয় লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশের পর্ষদ। কোম্পানিটির প্রকাশিত তথ্যানুসারে, এলএইচবিএল ও জেজিটিডিএসের মধ্যে সালিশি প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে সালিশি আদালত রায় দিয়েছেন। গত শুক্রবার লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ তাদের কৌঁসুলির মাধ্যমে রায়টি পেয়েছে। সালিশি প্রক্রিয়ায় এলএইচবিএল দাবি করেছিল যে তাদের ও জেজিটিডিএসের মধ্যে স্বাক্ষরিত গ্যাস বিক্রি চুক্তি (জিএসএ) অনুসারে গ্যাসের যে মূল্য নির্ধারিত রয়েছে সেটিই সর্বোচ্চ মূল্য, যা তালিকাভুক্ত কোম্পানিটিকে সরবরাহকৃত গ্যাসের মূল্য হিসেবে জেজিটিডিএস ধার্য করতে পারে। অন্যদিকে সালিশি আদালতে জেজিটিডিএস দাবি করে যে জিএসএর ধারা অনুসারে গ্যাসের মূল্যের সর্বোচ্চ সীমা যা-ই থাকুক না কেন তাদের সরবরাহকৃত গ্যাসের মূল্য সরকার বা বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) পক্ষ থেকে যেটি নির্ধারণ করা হয়েছে সেটিই কার্যকর বলে গণ্য হবে।

উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে সালিশি আদালত লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশের অনুকূলে রায় দিয়েছেন। রায়ে বলা হয়েছে, জিএসএ অনুসারে গ্যাসের দামের যে সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারিত রয়েছে সেটিই বৈধ এবং জেজিটিডিএসের পক্ষ থেকে চুক্তিতে নির্ধারিত সর্বোচ্চ মূল্যের অতিরিক্ত দামে অতীতে যেসব বিল করা হয়েছে তা পরিশোধের জন্য তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। এরই মধ্যে আপিল বিভাগের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে সরবরাহকৃত গ্যাসের জন্য এলএইচবিএলের পক্ষ থেকে যে পরিমাণ বাড়তি অর্থ পরিশোধ করা হয়েছে তা তালিকাভুক্ত কোম্পানিটিকে ফেরত দিতে জেজিটিডিএসকে আদেশ দিয়েছেন সালিশি আদালত।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশের হেড অব কমিউনিকেশনস তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘সালিশি আদালতের রায় প্রকাশ হয়েছে এবং তা আমাদের অনুকূলে এসেছে। বর্তমানে আমাদের লিগ্যাল টিম রায়টি পর্যালোচনা করছে।’

সিলেটের সুনামগঞ্জের ছাতকে অবস্থিত কারখানায় গ্যাস সরবরাহের জন্য ২০০৩ সালের ১৯ জানুয়ারি জেজিটিডিএস ও লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশের মধ্যে একটি জিএসএ স্বাক্ষর হয়। চুক্তি অনুসারে, সরকারের ট্যারিফ অনুযায়ী নির্ধারিত দামে গ্যাসের মূল্য পরিশোধ করে আসছিল কোম্পানিটি। তবে ২০১৫ সালে বিইআরসি কর্তৃক গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির পর সমস্যার সূত্রপাত। বিইআরসির বর্ধিত ট্যারিফ অনুসারে জেজিটিডিএস গ্যাসের বিল জমা দিলে এ বিষয়ে কোম্পানির পক্ষ থেকে আপত্তি জানানো হয়। কারণ বিইআরসির নতুন ট্যারিফ অনুসারে নির্ধারিত গ্যাসের দাম চুক্তিতে নির্ধারিত গ্যাসের দামের চেয়ে বেশি। এ বিষয়ে দুই পক্ষে পাল্টাপাল্টি যুক্তি চলতে থাকে। এর মধ্যেই গ্যাসের বিল বাবদ দাবীকৃত অর্থ দুই মাসের মধ্যে পরিশোধ করা না হলে গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার চূড়ান্ত নোটিস জারি করে জেজিটিডিএস। এরই ধারাবাহিকতায় বিষয়টি নিষ্পত্তি ও আইনি প্রতিকারের জন্য ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব আরবিট্রেশন ও উচ্চ আদালতে দ্বারস্থ হয় লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ।

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন: