
ইউক্রেনে আগ্রাসনের জন্য রাশিয়ার ৮০টি কোম্পানির ওপর শুক্রবার (২৬ মে) নতুন রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে জাপান। রাশিয়ার বার্তা সংস্থা তাস জানিয়েছে, নিষেধাজ্ঞার শিকার কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে রাশিয়ান মোবাইল ফোন অপারেটর মেগাফোন, ফেডারেল সার্ভিস অব মিলিটারি-টেকনিক্যাল কো-অপারেশন, রাশিয়ান ফাউন্ডেশন ফর অ্যাডভান্সড রিসার্চ প্রজেক্টস ইন দ্য ডিফেন্স ইন্ডাস্ট্রি, এনপিও লাভোচকিন ডিজাইন ব্যুরো, কামাজ ট্রাক মেকার, স্কোলকোভো ফাউন্ডেশন এবং স্কোলকোভো বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক ইনস্টিটিউট।
জাপান সরকারের শীর্ষ মুখপাত্র হিরোকাজু মাতসুনো সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘জাপানের নতুন নিষেধাজ্ঞার মধ্যে এ ছাড়াও রয়েছে রাশিয়ান ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর সম্পদ জব্দ করা, রাশিয়ার সামরিক-সম্পর্কিত সংস্থাগুলোতে পণ্য রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা এবং রাশিয়ায় নির্মাণ ও প্রকৌশল পরিষেবা রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা।’
জাপান সরকারের ভাষ্যমতে, ‘১৭ ব্যক্তি এবং ৭৮টি গোষ্ঠীকে লক্ষ্য করে সম্পদ জব্দ করা হয়েছে, যার মধ্যে মস্কোর উচ্চস্তরের সামরিক কর্মকর্তারা রয়েছে।’
মাতসুনো বেলারুশে রাশিয়ার কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েনের পরিকল্পনারও নিন্দা করেছেন। বেলারুশিয়ান নেতা আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো বৃহস্পতিবার (২৫ মে) বলেছেন, মস্কো তার ভূখণ্ডে পরমাণু অস্ত্র মোতায়েন শুরু করেছে।
মাতসুনো বলেন, ‘এ কারণে উত্তেজনা আরও বাড়বে।’ তিনি বলেন, ‘পারমাণবিক বোমা হামলার শিকার একমাত্র দেশ হিসেবে জাপান কখনোই রাশিয়ার পারমাণবিক অস্ত্রের হুমকি সহ্য করতে পারে না।’
সম্প্রতি, যুক্তরাষ্ট্র এবং জাপান ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার যুদ্ধের সঙ্গে যুক্ত শত শত ব্যক্তি ও সংস্থার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। যুক্তরাষ্ট্র ৩০০টিরও বেশি লক্ষ্যবস্তুর ওপর নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা করেছিল, যখন গ্রুপ অব সেভেন নেতারা জাপানে মিলিত হয়েছিল।
গ্রুপ অব সেভেনের লক্ষ্য ছিল- ইউক্রেনে আগ্রাসনের জন্য রাশিয়াকে শাস্তি দেওয়া এবং কঠোরতম নিষেধাজ্ঞার প্রচেষ্টাকে তীব্রতর করা। জাপান গত ফেব্রুয়ারিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে রাশিয়ার কোম্পানির সম্পদ জব্দ করে এবং ভিসা স্থগিত করে। সূত্র: ফার্স্টপোস্ট
শেয়ার বিজনেস24.কম