facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ২৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার, ২০২৪

Walton

মুদ্রাস্ফীতির কারণে তীব্র মন্দার মুখে জার্মানি


২৬ মে ২০২৩ শুক্রবার, ১১:০৩  এএম

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

শেয়ার বিজনেস24.কম


মুদ্রাস্ফীতির কারণে তীব্র মন্দার মুখে জার্মানি

ক্রমাগত মুদ্রাস্ফীতি জার্মান অর্থনীতিতে গভীর প্রভাব ফেলেছে। চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে প্রবৃদ্ধি সংকুচিত হওয়ায় মন্দার মধ্যে রয়েছে ইউরোপের বৃহত্তম অর্থনীতি। তাছাড়া, ইউক্রেনের যুদ্ধের কারণে রাশিয়ার গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে, যা জার্মানির অর্থনীতিতে ভয়াবহ প্রভাব ফেলেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

জার্মানির পরিসংখ্যান দপ্তর জানিয়েছে, জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত দেশটির অর্থনীতি শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ সংকুচিত হয়েছে। গত বছরের শেষ প্রান্তিকে গত তিন মাসে দেশটির অর্থনীতি শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ সংকুচিত হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, যদি কোনো দেশের অর্থনীতি পরপর দুই প্রান্তিকে সংকুচিত হয়, তাহলে দেশটি মন্দার মধ্যে রয়েছে বলে ধারনা করা হয়। জার্মান আর্থিক প্রতিষ্ঠান ডেকা ব্যাংকের বিশ্লেষক আন্দ্রেয়াস শালা জানান, মুদ্রাস্ফীতির চাপ জার্মান ভোক্তাদের ওপর বিশাল বোঝা চাপিয়ে দিয়েছে।

এতে পুরো অর্থনীতি বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। চলতি বছরের এপ্রিলে বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ জার্মানিতে মুদ্রাস্ফীতি ছিল ৭ দশমিক ২ শতাংশ। এই গড় ইউরো অঞ্চলে সর্বোচ্চ, তবে যুক্তরাজ্যের চেয়ে কম। একই মাসে যুক্তরাজ্যে মুদ্রাস্ফীতি ছিল ৮ দশমিক ৭ শতাংশ।

জার্মানিতে উচ্চ মূল্যের কারণে খাদ্য, পোশাক ও আসবাবপত্রের মতো খাতে পরিবারের ব্যয় হ্রাস পেয়েছে। অন্যদিকে, জ্বালানি তেলের উচ্চ মূল্য ব্যবসা ও শিল্প উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।

দেশটির ফেডারেল পরিসংখ্যান সংস্থা `ডিস্ট্যাটিস` এর এক বিবৃতিতে আরো বলা হয়, দিনের পর দিন উচ্চ মূল্যস্ফীতি অব্যাহত থাকায় বছরের শুরুতে এটি জার্মান অর্থনীতির ওপর প্রভাব ফেলে। এখন এটি আরও ঘনীভূত হচ্ছে। তবে এর আগে ডিস্টাটিস জানিয়েছিল, জার্মানি মন্দা এড়াতে পারে।

তবে সংশোধিত পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, আগের প্রান্তিকের তুলনায় এই প্রান্তিকে গৃহস্থালি ব্যয় কমেছে ১ দশমিক ২ শতাংশ। জার্মান সরকারের বিজ্ঞাপনে ব্যয়ও কমেছে ৪ দশমিক ৯ শতাংশ। বৈদ্যুতিক ও হাইব্রিড গাড়ির জন্য সরকারী ভর্তুকি প্রত্যাহারের পরে গাড়ি বিক্রিও হ্রাস পেয়েছে।

যাইহোক, কেউ কেউ রাশিয়ান শক্তির উপর জার্মানির অত্যধিক নির্ভরতার কারণে আরও মারাত্মক মন্দার পূর্বাভাস দিয়েছিলেন। বিশ্লেষকেরা বলছেন, প্রত্যাশার চেয়ে হালকা মন্দা এবং কোভিড-১৯ বিধিনিষেধ কাটিয়ে চীনের অর্থনীতি পুনরায় চালু হওয়ায় মন্দা রয়ে গেছে।

চীনের সমর্থনের ফলে জার্মানিতে জ্বালানির উচ্চ মূল্যের নেতিবাচক প্রভাব হ্রাস পেয়েছে। এদিকে, জার্মানিতে বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ যেমন বেড়েছে, তেমনি বেড়েছে রপ্তানিও। কিন্তু এগুলো দেশকে মন্দার হাত থেকে বাঁচাতে পারেনি।

এলবিবিডব্লিউ ব্যাংকের বিশ্লেষক জেনস-অলিভার নিকলাস জানান, প্রাথমিক সূচকগুলো ইঙ্গিত দিচ্ছে, চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকেও পরিস্থিতি দুর্বল হবে। তবে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, চলতি বছরের এপ্রিল থেকে জুনের মধ্যে জার্মানির অর্থনীতি রপ্তানি হবে। তবে আইএমএফ তাদের পূর্বাভাসে জানিয়েছে, বিশ্বের শক্তিশালী অর্থনীতির মধ্যে জার্মানির অর্থনীতি সবচেয়ে দুর্বল হবে এবং এ বছর শূন্য দশমিক এক শতাংশ সঙ্কুচিত হবে।

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন: