facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ২৯ মার্চ শুক্রবার, ২০২৪

Walton

বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর


০৫ জুন ২০২৩ সোমবার, ১২:৩৭  পিএম

স্টাফ রিপোর্টার

শেয়ার বিজনেস24.কম


বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর

বিশ্ব পরিবেশ দিবসে গণভবনে গাছের চারা রোপণ করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই সঙ্গে জলবায়ু অভিঘাত মোকাবিলায় সবাইকে বেশি করে বৃক্ষরোপণের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। সোমবার (৫ জুন) গণভবন প্রাঙ্গণে গাছের চারা রোপণের মধ্যদিয়ে বিশ্ব পরিবেশ দিবস ও পরিবেশ মেলা, ২০২৩ এবং জাতীয় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন সরকারপ্রধান।

এর আগে দিবসটি উপলক্ষে এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পরিবেশই প্রাণের ধারক ও বাহক। পরিবেশ ও প্রকৃতির সঙ্গে মানুষের রয়েছে নিবিড় সম্পর্ক। জনসংখ্যা বৃদ্ধি, দ্রুত নগরায়ন এবং সম্পদের অপরিমিত ব্যবহারের ফলে প্রকৃতি ও পরিবেশ আজ অনেকটাই বিপর্যস্ত, হ্রাস পাচ্ছে জীববৈচিত্র্য, বিঘ্নিত হচ্ছে প্রাকৃতিক ভারসাম্য।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা-২০৩০ অর্জনে আমাদের সরকার প্রকৃতি ও পরিবেশ সংরক্ষণের ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে নানাবিধ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। নতুন নতুন অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং শিল্প-প্রতিষ্ঠান স্থাপনে যাতে প্রতিবেশ ও পরিবেশসম্মত বিধিব্যবস্থা পরিপালন করা হয় সেদিকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। সমুদ্র প্রতিবেশ সংরক্ষণ, সমুদ্র দূষণরোধ ও সমুদ্র সম্পদের টেকসই ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমকে উন্নয়নের মূলধারায় অন্তর্ভুক্ত করার লক্ষ্যে আমরা ব্লু-ইকোনমি কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছি।’

বাণীতে সরকারপ্রধান জানান, পরিবেশ সংরক্ষণে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও বাংলাদেশে ৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালন করা হচ্ছে জেনে তিনি আনন্দিত। বিশ্ব পরিবেশ দিবসের এ বছরের প্রতিপাদ্য ‘প্লাস্টিক দূষণ সমাধানে সামিল হই সকলে’ অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক হয়েছে বলেও মনে করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাপী গত ৭০ বছরে প্লাস্টিকের বহুমুখী ও অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার, বিশেষ করে একক ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের অত্যধিক উৎপাদন, যত্রতত্র ব্যবহার ও অব্যবস্থাপনার ফলে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে এবং উর্বর কৃষি জমি থেকে শুরু করে জলাশয়ের প্রতিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। ফুড চেইনের মাধ্যমে সামুদ্রিক মাছ থেকে শুরু করে অন্যান্য সামুদ্রিক প্রাণী, গবাদি পশু ও মানুষের দেহে মাইক্রো প্লাস্টিক প্রবেশ করছে। এর ফলে সামুদ্রিক প্রাণীর সংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে এবং মানুষসহ বিভিন্ন প্রাণী ক্যান্সার ও বিভিন্ন দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছে। কাজেই, প্লাস্টিকের উৎপাদন ও ব্যবহার হ্রাস, প্লাস্টিকের পুনঃব্যবহার ও পুনঃচক্রায়ন বৃদ্ধি এবং প্লাস্টিকের কার্যকর বিকল্প উদ্ভাবনের এখনই সঠিক সময়।

শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার প্লাস্টিকের উৎপাদন হ্রাস ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে বহুমুখী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ (সংশোধিত ২০১০) ও পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালা, ২০২৩- এর মাধ্যমে পলিথিন শপিং ব্যাগ উৎপাদন, পরিবহন, মজুত ও ব্যবহার নিষিদ্ধকরণ এবং পণ্যে পাটজাত মোড়ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক আইন, ২০১০ ও পণ্যে পাটজাত মোড়ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক বিধিমালা, ২০১৩- এর মাধ্যমে পলিথিনের বিকল্প পাটের শপিং ব্যাগ উৎপাদন ও বাজারজাতকরণে বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।

বাণীতে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উদযাপনের মাধ্যমে পরিবেশ সংরক্ষণ ও প্রতিবেশের টেকসই ব্যবস্থাপনায় জনসচেতনতা ও জনসম্পৃক্ততা আরও বৃদ্ধি পাবে বলে প্রত্যাশা করে ‘বিশ্ব পরিবেশ দিবস ২০২৩’- এর সার্বিক সাফল্য কামনা করেন প্রধানমন্ত্রী।

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন: