
ইউক্রেনীয় গমের দ্বিতীয় একটি চালান রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) তুরস্কে পৌঁছেছে। ইউক্রেন থেকে ছেড়ে যাওয়া অথবা ইউক্রেনগামী জাহাজে হামলা চালানোর হুমকি দিয়েছিল রাশিয়া। এই কারণে বিকল্প পথে শস্য চালান শুরু করেছে ইউক্রেন।
এএফপির খবরে বলা হয়েছে, ইউক্রেন আপাতত ন্যাটো সদস্য বুলগেরিয়া ও রোমানিয়ার নিয়ন্ত্রণে থাকা জলসীমায় পরীক্ষামূলকভাবে জাহাজের মাধ্যমে পণ্য আনা-নেওয়া শুরু করেছে। পালাউ’র পতাকাবাহী জাহাজটি মিশরের উদ্দেশে রওনা হয়েছে।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ আবারো জানান, কৃষ্ণ সাগরের মধ্য দিয়ে নিরাপদে ইউক্রেনের শস্য রপ্তানির উদ্যোগটি আর চালু করা হবে না। এ ছাড়াও তিনি ইউক্রেনের প্রস্তাবিত ১০ দফা শান্তি পরিকল্পনার প্রতি নিন্দা জানান। তিনি উভয় উদ্যোগকে বাস্তবসম্মত নয় বলে আখ্যায়িত করেন।
নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে বিশ্ব নেতাদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন ল্যাভরভ। বৈশ্বিক কূটনীতিক তৎপরতার এই সপ্তাহে ইউক্রেন ও তার পশ্চিমা মিত্ররা রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরও সমর্থন আদায়ের চেষ্টা চালিয়েছে।
কিয়েভের শান্তি পরিকল্পনা সম্পর্কে ল্যাভরভ বলেন, `এটা একেবারেই সম্ভব নয়। এটা বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। এটা বাস্তবসম্মত নয় এবং তা সবাই বোঝে। কিন্তু একইসঙ্গে, তারা বলে, এটাই দর কষাকষির একমাত্র ভিত্তি।`
ল্যাভরভ জানান, কিয়েভ ও তার পশ্চিমা মিত্ররা জোর খাটালে যুদ্ধক্ষেত্রেই এই সংঘাতের মীমাংসা হবে। মস্কো কৃষ্ণ সাগর দিয়ে ইউক্রেনীয় শস্য রপ্তানির চুক্তি থেকে সরে এসেছে, কারণ রাশিয়াকে দেওয়া অঙ্গীকারগুলো পূরণ হয়নি।
তিনি বলেন, `এই রফতানি উদ্যোগ আবারো চালু করতে জাতিসংঘের সর্বশেষ প্রস্তাব বাস্তবসম্মত নয়। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকি ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে বক্তব্য রাখার ৪ দিন পর বক্তব্য দিলেন ল্যাভরভ।` জেলেন্সকি তার বক্তব্যে রাশিয়ার বিরুদ্ধে খাদ্য, জ্বালানী ও এমন কী, শিশুদেরকে ইউক্রেন ও আন্তর্জাতিক নীতিমালা ভিত্তিক নিয়মতান্ত্রিকতার বিরুদ্ধে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহারের অভিযোগ এনেছেন।
বাইডেনও একই সুর বজায় রাখেন। তিনি বিশ্ব নেতাদের ইউক্রেনের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়ে বলেন, `যদি আমরা ইউক্রেনকে খণ্ড-বিখণ্ড হতে দেই, তাহলে কোনো দেশের স্বাধীনতা কী নিরাপদ থাকবে?` সূত্র: ভয়েস অব আমেরিকা
শেয়ার বিজনেস24.কম