
আবার আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত চিনির দর বেড়েছে। গত শুক্রবার ইন্টারকন্টিনেন্টাল এক্সচেঞ্জে (আইসিই) খাদ্যপণ্যটির মূল্য ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাত দিয়ে বিজনেস রেকর্ডারের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
এতে বলা হয়, আগের কার্যদিবসে চিনির ব্যাপক দরপতন ঘটেছিল। গত ১ মাসের মধ্যে তা সর্বনিম্ন নেমে গিয়েছিল। এরপরই ভোগ্যপণ্যটির বাজার ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে।
এ কার্যদিবসে আইসিই’তে অপরিশোধিত চিনির আগামী জুলাইয়ের সরবরাহ মূল্য বেড়েছে পেয়েছে শূন্য দশমিক ৮ শতাংশ। প্রতি পাউন্ডের দর স্থির হয়েছে ২৫ দশমিক ০২ সেন্টে।
তবে আগের কর্মদিবসেও (বৃহস্পতিবার) ভোগ্যপণ্যটি দর হারিয়েছিল। পাউন্ডপ্রতি দাম নিষ্পত্তি হয় ২৪ ডলার ৬১ সেন্টে।
আলোচ্য কর্মদিবসে আগামী আগস্টের চিনির সরবরাহ মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ। প্রতি টনের দর দাঁড়িয়েছে ৭০০ টন। পূর্বের কর্মদিবসে তা ছিল ৬৯৬ ডলার ২০ সেন্ট। তবে আগামীতে খাদ্যপণ্যটির দাম কমতে পারে।
রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, চলতি বছরের বাকি সময়ে ভারতে এল নিনোর প্রভাব পড়তে পারে। তবু দেশটিতে স্বাভাবিক পরিমাণে মৌসুমী বৃষ্টিপাত হতে পারে। ফলে চিনির উৎপাদন বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এ ছাড়া বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ চিনি উৎপাদনকারী ব্রাজিলে গ্রীষ্মকালে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হয়েছে। ফলে উৎপাদন ভালো হওয়ার প্রত্যাশা করা হচ্ছে। এ প্রেক্ষাপটে খাদ্যপণ্যটি রপ্তানিতে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে পারে তারা।
ইতোমধ্যে শিল্প উপাত্তে দেখা গেছে, ব্রাজিলের মধ্য-দক্ষিণ অঞ্চলে চলতি মে মাসের প্রথমার্ধে চিনি উৎপাদন ব্যাপক বেড়েছে। এক বছর আগের একই সময়ের চেয়ে যা ৫০ শতাংশ বেশি। ফলে আগামীতে চিনির দর বাড়তে পারে।
শেয়ার বিজনেস24.কম