
নেতৃত্বহীনতায় শেয়ারবাজারে অস্থিরতা ও আস্থা সংকটের জন্য সরাসরি বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মকসুদকে দায়ী করেছেন বিনিয়োগকারীরা। বাজারে আস্থা ফেরাতে তার পদত্যাগ বা অপসারণ দাবি করেছেন তারা। বুধবার (২৯ মে) প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে এই দাবি সরাসরি চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতেই উত্থাপিত হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেট ইনভেস্টরস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ইকবাল হোসেন বলেন, “বর্তমান চেয়ারম্যানের বাজার পরিচালনার যোগ্যতা নেই। বারবার প্রতিবাদ জানিয়েছি, এবার আনুষ্ঠানিকভাবে অপসারণের দাবি জানিয়েছি। তাকে সরানো না হলে বাজারে আস্থা ফিরবে না।”
বিনিয়োগকারীদের অভিযোগ, চেয়ারম্যানের মূলধন বাজার সম্পর্কে অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান সীমিত। তারা জানান, শুধু সাধারণ বিনিয়োগকারী নয়, সাবেক কমিশনাররাও এমন মত প্রকাশ করেছেন। প্রতিদিন বাজারে পুঁজি হারিয়ে যাচ্ছে, বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ব্রোকারেজ হাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংক, বাড়ছে ছাঁটাই।
চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে শেয়ারবাজারে প্রতীকী কফিন ও কাফনের কাপড় নিয়ে শোভাযাত্রাও করেছেন বিনিয়োগকারীরা—যা বাজারের সংকট কতটা গভীর তা বোঝায়।
সভায় বিনিয়োগকারী সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরীর কাছে দাবি-সংবলিত একটি স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়। এতে ফোর্সড সেল বন্ধ, বাজারে তারল্য বাড়ানো, পেনশন ও জীবনবীমা তহবিলকে বাজারে ব্যবহার এবং বাংলাদেশ ব্যাংকসহ অন্যান্য নিয়ন্ত্রক সংস্থার মাধ্যমে বাজারে বিনিয়োগের সুযোগ তৈরির সুপারিশ রয়েছে।
বিএসইসির মুখপাত্র আবুল কালাম বৈঠক শেষে বলেন, “ফোর্সড সেল নীতির কারণে বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন—এ কথা বিনিয়োগকারীরা স্পষ্টভাবে বলেছেন। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।”
বৈঠকে বিএসইসির কমিশনার মো. মোহসিন চৌধুরী ও মো. আলী আকবরসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বাজার স্থিতিশীল করতে তাৎক্ষণিক করণীয় নিয়েও সেখানে আলোচনা হয়।