
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ‘জেড’ ক্যাটাগরির কোম্পানি এবং উদ্যোক্তা-পরিচালকদের যৌথভাবে ন্যূনতম ৩০ শতাংশ শেয়ারধারণে ব্যর্থ এমন কোম্পানির ক্ষেত্রে স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগে করণীয় নির্দিষ্ট করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। গণমাধ্যমে প্রচারিত খবরে বিভ্রান্তি দেখা দেওয়ায় বিষয়টি ব্যাখ্যাসহ ব্যাখ্যা দিয়েছে সংস্থাটি।
রবিবার (১ জুন) বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র মো. আবুল কালাম আজাদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ ব্যাখ্যা দেওয়া হয়। এতে বলা হয়, গত ২৭ মে অনুষ্ঠিত কমিশনের ৯৫৭তম সভায় এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
কমিশনের ব্যাখ্যায় বলা হয়, ‘জেড’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানি এবং যেসব কোম্পানিতে স্পন্সর ও পরিচালক মিলিয়ে মোট শেয়ার ধারণ ৩০ শতাংশের নিচে, তাদের ‘কর্পোরেট গভর্ন্যান্স কোড, ২০১৮’ অনুসারে স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগের প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে।
এ প্রসঙ্গে বলা হয়, প্রথমে কোম্পানির নমিনেশন ও রেমুনারেশন কমিটি উপযুক্ত ব্যক্তির “ফিট অ্যান্ড প্রপার” মানদণ্ড অনুযায়ী স্বতন্ত্র পরিচালকের জন্য সুপারিশ করবে। এরপর কোম্পানির বোর্ড সেই সুপারিশ নিয়োগের জন্য বিএসইসি এবং প্রয়োজনে বাংলাদেশ ব্যাংকের সম্মতির জন্য পাঠাবে। নিয়ন্ত্রক সংস্থার সম্মতির পর বোর্ড স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ দেবে। শেষ ধাপে বার্ষিক সাধারণ সভায় শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদন নিতে হবে।
এই নির্দেশনার ফলে বাজারে পরিচালনাগত জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা বাড়বে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। বিশেষ করে ‘জেড’ ক্যাটাগরির কোম্পানিগুলোর কর্পোরেট কাঠামো ঢেলে সাজানো এবং স্বতন্ত্র পরিচালকদের মাধ্যমে ছোট বিনিয়োগকারীদের স্বার্থরক্ষা নিশ্চিত করার দিকেই বিএসইসির মনোযোগ।