
দেশের পুঁজিবাজারে গতি ফেরাতে নতুন অর্থবছরের বাজেটে ব্রোকারেজ হাউস ও মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর জন্য কর ছাড়ের বেশ কিছু প্রস্তাব রাখা হচ্ছে। আজ সোমবার ২০২৫–২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে এই খাতের জন্য বিশেষ সুবিধা ঘোষণা আসতে পারে।
বাজেটে শেয়ার লেনদেনের ওপর উৎসে কর ০.০৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ০.০৩ শতাংশ করার প্রস্তাব রাখা হতে পারে। এতে করে বিশেষ করে ক্ষতিগ্রস্ত ও অপ্রাতিষ্ঠানিক ব্রোকারেজ হাউসগুলো কিছুটা স্বস্তি পাবে বলে মনে করছে ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ)। ডিবিএ সভাপতি মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, “লোকসানেও কর দিতে হয়—এ অবস্থায় টিকে থাকা কঠিন, কর হ্রাসে কিছুটা ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব হবে।”
এছাড়া মার্চেন্ট ব্যাংকের কর হারও ৩৭.৫ শতাংশ থেকে ২৭.৫ শতাংশে নামিয়ে আনার প্রস্তাব রয়েছে। বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মাজেদা খাতুন জানান, “আমরা ব্যাংকের মতো কর দিচ্ছি, অথচ আমাদের কাজ ভিন্ন। কর কমলে আমরা বাজার উন্নয়ন ও গবেষণায় বেশি বিনিয়োগ করতে পারব।”
এ ছাড়া বাজারে ভালো মানের কোম্পানি আনতে তালিকাভুক্ত ও তালিকাবহির্ভূত কোম্পানির কর ব্যবধান ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৭.৫ শতাংশ করার প্রস্তাব আসতে পারে। তালিকাভুক্ত কোম্পানির কর হার রাখা হচ্ছে ২২.৫ শতাংশ, আর ব্যাংকিং চ্যানেলে লেনদেন সম্পূর্ণ হলে তা ২০ শতাংশে নামবে। অপরদিকে তালিকাবহির্ভূত কোম্পানির হার ২৭.৫ শতাংশই থাকছে, তবে কিছু নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ করলে তা ২৫ শতাংশে নামতে পারে।
বাজার বিশ্লেষকদের মতে, এসব উদ্যোগ শেয়ারবাজারে স্থিতিশীলতা ফেরাতে এবং বিনিয়োগকারীদের আস্থা পুনরুদ্ধারে কার্যকর ভূমিকা রাখবে। করের ভার হ্রাস ও কর ব্যবধান বৃদ্ধি—এই যুগপৎ কৌশলকে শেয়ারবাজারে চাঙ্গাভাব ফিরিয়ে আনার অন্যতম ধাপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।