ঢাকা   বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১৭ বৈশাখ ১৪৩২

বস্ত্র খাতে জোরাল ঘুরে দাঁড়ানো! ১২ কোম্পানির মুনাফায় চমকপ্রদ উত্থান

শেয়ারবাজার

শেয়ারবিজনেস ডেস্ক

প্রকাশিত: ১০:৩৩, ৩০ এপ্রিল ২০২৫

বস্ত্র খাতে জোরাল ঘুরে দাঁড়ানো! ১২ কোম্পানির মুনাফায় চমকপ্রদ উত্থান

টানা চ্যালেঞ্জের পর শেয়ারবাজারে বস্ত্র খাতে দেখা দিল আশার আলো। ২০২৫ সালের জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে (তৃতীয় প্রান্তিক) প্রকাশিত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনে ১২টি বস্ত্র কোম্পানি মুনাফা প্রবৃদ্ধি দেখিয়েছে—যা বিনিয়োগকারীদের জন্য বড় একটি ইতিবাচক বার্তা হিসেবে দেখা হচ্ছে।

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ৫৮টি বস্ত্র কোম্পানির মধ্যে ইতোমধ্যে ২৩টি তাদের তৃতীয় প্রান্তিকের ফলাফল প্রকাশ করেছে। এরমধ্যে ১২টি কোম্পানির মুনাফা বেড়েছে উল্লেখযোগ্যভাবে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে: আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ, শাশা ডেনিমস, সোনারগাঁও টেক্সটাইলস, দেশ গার্মেন্টস, দুলামিয়া কটন, তশরিফা ইন্ডাস্ট্রিজ, কুইন সাউথ, স্টাইলক্রাফট, আর্গন ডেনিমস, এনভয় টেক্সটাইলস, মোজাফ্ফর হোসেন স্পিনিং ও মতিন স্পিনিং

বিশ্লেষণে যা উঠে এসেছে:

  • এনভয় টেক্সটাইলস সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি দেখিয়েছে, তাদের EPS ১ বছর আগের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ২.৪৪ টাকা, যা ছিল ১.১৮ টাকা। নয় মাসে মোট আয় ৬.০৩ টাকা, আগের বছর ছিল ২.৬২ টাকা।

  • আর্গন ডেনিমসও চমক দেখিয়েছে, এক বছরে EPS বেড়েছে ২৬ পয়সা, দাঁড়িয়েছে ৪০ পয়সা। নয় মাসে EPS ১.৪২ টাকা।

  • স্টাইলক্রাফট লোকসান কাটিয়ে মুনাফায় ফিরেছে; আগের বছর যেখানে ২৪ পয়সা লোকসান ছিল, সেখানে এবার ৩ পয়সা মুনাফা।

  • আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ ধারাবাহিকভাবে উন্নতি ধরে রেখেছে, তাদের EPS বেড়ে হয়েছে ৭৬ পয়সা, যা আগের বছর ছিল ৭২ পয়সা।

  • মতিন স্পিনিং ৯ মাসে ৩.৬৬ টাকা মুনাফা করেছে, যা আগের বছর ছিল মাত্র ১.৫৬ টাকা। তাদের EPS বৃদ্ধি হয়েছে ৭ পয়সা।

বাকি উল্লেখযোগ্য কোম্পানির অগ্রগতি:

কোম্পানি EPS (জানু-মার্চ’২৫) আগের বছর পরিবর্তন
শাশা ডেনিমস ১০ পয়সা ৩ পয়সা +৭ পয়সা
সোনারগাঁও টেক্সটাইলস ২২ পয়সা ২০ পয়সা +২ পয়সা
দেশ গার্মেন্টস ৩৯ পয়সা ৩৬ পয়সা +৩ পয়সা
দুলামিয়া কটন ২ পয়সা (১৬) পয়সা +১৮ পয়সা
তশরিফা ইন্ডাস্ট্রিজ ২০ পয়সা ৮ পয়সা +১২ পয়সা
কুইন সাউথ টেক্সটাইল ১৮ পয়সা ১১ পয়সা +৭ পয়সা
মোজাফ্ফর হোসেন স্পিনিং ২৯ পয়সা ২২ পয়সা +৭ পয়সা

বিশ্লেষকদের অভিমত:
বস্ত্র খাতে এই মুনাফা বৃদ্ধিকে অনেকে সামগ্রিক অর্থনীতির ‘পজিটিভ সিগন্যাল’ হিসেবে দেখছেন। বিশেষ করে টেক্সটাইল রপ্তানি ও অভ্যন্তরীণ চাহিদার পুনরুদ্ধার এর পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।