সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক-শিক্ষিকাদের দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষার অবসান হলো অবশেষে। গেজেটেড পদমর্যাদা অর্জনের মাধ্যমে তারা পেলেন নতুন এক স্বীকৃতি ও আর্থিক সুফল। বুধবার (৩০ এপ্রিল) অর্থ মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন অনুবিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়, যা শিক্ষক মহলে ব্যাপক আনন্দ ও স্বস্তি এনেছে।
অর্থ বিভাগের উপসচিব মোহাম্মদ গোলাম কবির স্বাক্ষরিত ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ১৯৭০ সালের ১৭ জুলাইয়ের এডুকেশন ডিপার্টমেন্টের স্মারক নম্বর ৮৩২-ইডিএন-এর তফসিলে ‘সহকারী শিক্ষক অথবা শিক্ষিকা’ পদনামটি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এর ফলে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষকদের পদটি এখন থেকে গেজেটেড হিসেবে গণ্য হবে।
এই নতুন মর্যাদার ফলে শিক্ষকদের আর্থিক সুযোগ-সুবিধায়ও বড় ধরনের পরিবর্তন আসছে। দ্বিতীয় শ্রেণির এমএড বা মাস্টার্স ডিগ্রিধারীরা এক ধাপ এবং প্রথম শ্রেণির ডিগ্রিধারীরা দুটি অগ্রিম বর্ধিত বেতন সুবিধা পাবেন। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, এই আদেশটি ২০১৫ সালের ১ জুলাই থেকে কার্যকর ধরা হবে, যা শিক্ষকরা প্রাপ্ত সুবিধার পেছনের সময়কাল থেকেও উপকৃত হবেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব বরাবর প্রজ্ঞাপনটির অনুলিপি পাঠানো হয়েছে বলেও জানানো হয়।
গেজেটেড পদমর্যাদা ছিল বহুদিনের একটি দাবি, যা অবশেষে পূরণ হওয়ায় শিক্ষক সমাজে স্বস্তির ঢেউ বইছে। সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন, এই পদমর্যাদা শিক্ষকদের পেশাগত মর্যাদা বৃদ্ধির পাশাপাশি পদোন্নতি, বেতন কাঠামো ও অন্যান্য সরকারি সুযোগ-সুবিধা প্রাপ্তির ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
