
প্রাণঘাতী বিক্ষোভে সরকার পতনের পর নেপালের সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কিই দেশটির পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন এবং তিনি শুক্রবার রাতে শপথ নেবেন বলে জানিয়েছে প্রেসিডেন্টের কার্যালয়।
প্রেসিডেন্টের প্রেস উপদেষ্টা কিরণ পোখারেল এক বিবৃতিতে বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট রাম চন্দ্র পাউডেল সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কিকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেবেন।’
তিনি আরো জানান, ‘কার্কির স্থানীয় সময় রাত ৯টায় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার কথা রয়েছে।’
জেন-জি আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী নিমেশ শ্রেষ্ঠা জানান, বিক্ষোভকারীরা সাবেক বিচারপতির পক্ষেই রয়েছে।
তিনি এএফপিকে বলেন, ‘আমাদের একটি সমঝোতা হয়েছে। সংসদ ভেঙে দেওয়া হবে। সুশীলা কার্কি প্রধানমন্ত্রী হবেন।’
কিরণ পোখারেল আরো বলেন, ‘এরপর একটি মন্ত্রিসভা গঠন করা হবে, এবং অন্যান্য প্রক্রিয়া সেখান থেকে শুরু হবে।
২০১৬ সালের জুলাই থেকে ২০১৭ সালের জুন পর্যন্ত নেপালের প্রথম নারী প্রধান বিচারপতি ছিলেন কার্কি। দায়িত্বকালে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের জন্য পরিচিতি পান তিনি।
কৃষক পরিবারের সন্তান কার্কি সাত ভাই-বোনের মধ্যে সবার বড়। তার পরিবারের সঙ্গে নেপালের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিপি কৈরালার পরিবারের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল।
কৈরালা ১৯৫৯ থেকে ১৯৬০ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন।
১৯৭২ সালে মাহেন্দ্র মোরং ক্যাম্পাস থেকে বিএ পাস করেন কার্কি। পরে ভারতের বানারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাজনৈতিক বিজ্ঞানে এমএ এবং ১৯৭৮ সালে ত্রিভুবন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনশাস্ত্রে ডিগ্রি নেন।
তিনি প্রধান বিচারপতি থাকাকালে দুর্নীতির মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন তৎকালীন তথ্য ও যোগাযোগমন্ত্রী জয়প্রকাশ প্রসাদ গুপ্ত। আবার তার রায়ে দুর্নীতি দমন কর্তৃপক্ষের এক প্রভাবশালী প্রধান অপসারিত হন।
তবে ওই রায়ের কারণে তাকে রাজনৈতিক পক্ষপাতের অভিযোগে অভিশংসনের প্রক্রিয়ার মুখে পড়তে হয় এবং সাময়িক বরখাস্তও করা হয়েছিল।