ঢাকা   বৃহস্পতিবার ১৪ আগস্ট ২০২৫, ৩০ শ্রাবণ ১৪৩২

‘কান্ট্রিম্যান’ হবেন ‘মাইম্যান’ হবেন না: আশিক ইসলাম

বিশেষ প্রতিবেদন

শেয়ারবিজনেস ডেস্ক

প্রকাশিত: ১০:৪৬, ১২ আগস্ট ২০২৫

সর্বশেষ

‘কান্ট্রিম্যান’ হবেন ‘মাইম্যান’ হবেন না: আশিক ইসলাম

বিএনপির চেয়ারপারসন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সিনিয়র প্রেস সচিব আশিক ইসলাম বলেছেন, সাংবাদিকরা কান্ট্রিম্যান হবেন, কিন্তু মাইম্যান হবেন না। সাংবাদিকরা সমাজের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। দেশ ও সমাজ গঠনের দর্পণ। তবে সেই দর্পণ যেন অবতল বা উত্তল দর্পণে পরিনত না হয়। যেমনটি আমরা দেখেছি গত ফ্যাসিস্ট ও স্বৈরশাসনামলে। সাংবাদিকদের নিজেদের অধিকার নিজেদেরই অর্জন করার চেষ্টা করতে হবে।

সোমবার (১১ আগস্ট) রাজধানীর একটি রেস্তোরায় জাতীয়তাবাদী ঘরানার কিছু সাংবাদিকের আমন্ত্রণে এক বিনিময় সভায় তিনি একথা বলেন।

দীর্ঘ ১৭ বছর পর দেশে ফেরা সাইবার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সাইবার ইউজার দলের (বিএনসিইউপি) কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা আশিক ইসলাম আরও বলেন, আগামীতে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে মিডিয়া যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে তা সকলের অনুধাবন করা দরকার।

তিনি বলেন, সাংবাদিকরা বিচক্ষণতা দিয়ে নির্মোহভাবে রাজনৈতিক দল বা সরকারের ভালো-মন্দ কাজের যতো বেশি সমালোচনা করবেন, সেই কথা আমলে নিলে দেশ ততোই এগিয়ে যাবে। তবে গণমাধ্যমে ব্যক্তির পরিবর্তন হলেও এখনো চরিত্রের বদল হয়নি।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত সাংবাদিকরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে জাতীয়তাবাদী ঘরানার সাংবাদিকরা নির্যাতনের মধ্যে ছিলেন। এখনো তারা অনেক ক্ষেত্রে অবহেলার শিকার হচ্ছেন। এখন বিভিন্ন মিডিয়ায় পেশাদারিত্বের বদলে ‘মাইম্যান’ চর্চা চলছে। বিএনপির উচিত, মিডিয়াকে আরও বেশি গুরুত্ব দেওয়া। গণমাধ্যমে ব্যক্তির পরিবর্তন হলেও চরিত্র বদলায়নি। মিডিয়াতে বিএনপি বরাবরই পিছিয়ে। প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় বিএনপির সারাদেশের নেতা-কর্মীদের ত্রুটি-বিচ্যুতি ব্যাপক আকারে তুলে ধরা হয়।

সিনিয়র নেতাদের অনুষ্ঠানের প্রচারও হয় গতানুগতিক। অথচ দেশ গঠনে, সমাজ উন্নয়নে এবং গণতন্ত্রের উত্তরণে বিএনপির কার্যক্রম সেভাবে প্রচার করা হয়না। বিএনপির নেতারা মনে করেন তাদের সংবাদ প্রচার হওয়াটাই বড় কথা। বাস্তবতা হলো, দেশে যতোবার ক্রান্তিকাল এসেছে, প্রতিবারই বিএনপির বলিষ্ঠ নেতৃত্বে দেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু উন্নয়ন যাত্রায় বিএনপি কখনোই মিডিয়াকে সাথে নিয়ে এগুতে পারেনি। যার কারণে বিএনপির সাফল্যযাত্রা সাধারণ মানুষের মনে গাঁথা হয়নি, অগোচরে থেকে গেছে চিরদিন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক এরফানুল হক নাহিদ, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার চিফ রিপোর্টার ও ডিআরইউ’র সাবেক সভাপতি মোরসালনি নোমানী, এটিএন বাংলার চিফ রিপোর্টার মইনুল হাসান, জিটিভির হেড অব নিউজ আহমেদ সাগর, দৈনিক ইনকিলাবের সহকারী সম্পাদক মেহেদি হাসান পলাশ, দৈনিক ভোরের আকাশের জয়েন্ট নিউজ এডিটর ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক প্রচার সম্পাদক তারিক আল বান্না, এটিএন বাংলার ক্রীড়া সম্পাদক পরাগ আরমান, গ্রিন টিভির হেড অব নিউজ মাহমুদ হাসান, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার সাবেক নিউজ এডিটর ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক কোষাধ্যক্ষ জহিরুল হক রানা, নিউজ টুডে’র সাবেক সম্পাদক আখতার হোসেন মাসুদ, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার সিনিয়র রিপোর্টার জিএম রাজিব, সময়ের আলোর সিটি এডিটর আলমগীর হোসেন, জাতীয় প্রেস ক্লাবের ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য ও আরটিভির সিনিয়র রিপোর্টার মোমিন হোসেন, ডেইলি টাইমস অব বাংলাদেশের সিনিয়র রিপোর্টার মোশাররফ বাবলু, এটিএন বাংলার ক্রীড়া প্রতিবেদক আশরাফ হোসেন, সিনিয়র সাংবাদিক আলমগীর মোহাম্মদ রঞ্জু, নিউইয়র্কের সাপ্তাহিক সাদাকালো পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক মো. কাশেম, দৈনিক আমার দেশের সিনিয়র সাব এডিটর আবু দারদা যোবায়ের, রাহুল রায়, মো. মহসিন, মো. শিবলি, মো. কামাল হোসেন, আহসান জনি প্রমুখ।

সর্বশেষ