
আজও দেশের বহু নারী পুরোনো ধারায় রান্নাবান্না করেন—বঁটি, শিলপাটা, মাটির চুলা, কাঠ ও খড়ের জ্বালানিতে। এসব পদ্ধতি যেমন সময়সাপেক্ষ, তেমনি স্বাস্থ্যঝুঁকিও বাড়ায়। দীর্ঘক্ষণ ঝুঁকে কাজ করলে ঘাড় ও কোমরে ব্যথা হতে পারে, ধোঁয়া বাড়ায় শ্বাসকষ্টের সম্ভাবনা। অথচ কিছু সহজলভ্য যন্ত্র ব্যবহারে রান্না যেমন সহজ হয়, তেমনি স্বাস্থ্যও থাকে সুরক্ষিত।
ইনডাকশন চুলা ও আধুনিক কুকার
গ্যাসচাপ কম থাকলে ইনডাকশন চুলা হতে পারে কার্যকর সমাধান। এতে নির্দিষ্ট ধরনের পাত্র ব্যবহার করলেই রান্না সহজ ও ঝামেলাহীন হয়। পাশাপাশি প্রেশার কুকার, রাইস কুকার, কারি কুকার, এমনকি ডিজিটাল মাল্টিকুকার—সবই রান্না সহজ করে সময় বাঁচায়।
ওভেন, জুসার ও ব্লেন্ডার
ওভেন ব্যবহার করে গরম করা ছাড়াও নানা পদ রান্না সম্ভব, তবে নিরাপত্তা সরঞ্জাম যেমন গ্লাভস ব্যবহার আবশ্যক। জুসার, মিক্সার, গ্রাইন্ডার ও ব্লেন্ডার দিয়ে বাড়িতে স্বাস্থ্যকর পানীয়, মসলা বা চাল গুঁড়া করা যায়, যা বাজারজাত খাবারের চেয়ে নিরাপদ ও পুষ্টিকর।
স্মার্ট নাশতা যন্ত্র
সকালের তাড়ায় টোস্টার বা স্যান্ডউইচ মেকার হতে পারে দারুণ সহায়ক। কম সময়ে তৈরি হয় স্বাস্থ্যকর খাবার। বিটার দিয়ে কেক বা ক্রিম তৈরিও হয় অনেক সহজ।
কোরবানির সময় সহায়ক যন্ত্র
মিট চপার বা মিট গ্রাইন্ডার কোরবানির সময়ে মাংস প্রক্রিয়ায় কার্যকর। বছরজুড়েই এগুলো দিয়ে বানানো যায় নানা পদ।
ঝটপট পানীয় তৈরিতে কেটলি ও কফি মেকার
চা বা কফি দ্রুত তৈরি করতে বৈদ্যুতিক কেটলি বা কফি মেকার হতে পারে প্রতিদিনের নির্ভরযোগ্য সঙ্গী।
সতর্কতার বিষয়
সব যন্ত্র ব্যবহারে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে। শিশু ও পোষা প্রাণীর নাগালের বাইরে রাখতে হবে যন্ত্রপাতি। ব্যবহার শেষে বন্ধ করে, প্লাগ খুলে, পরিষ্কার করে গুছিয়ে রাখা জরুরি।
রান্নাঘরের স্মার্ট যন্ত্রগুলো কোনো বিলাসিতা নয়—এগুলো সময় বাঁচায়, পরিশ্রম কমায় এবং স্বাস্থ্যঝুঁকি হ্রাস করে। তাই এসব যন্ত্র শুধু আধুনিকতার প্রতীক নয়, বরং আজকের প্রয়োজন।