ঢাকা   শনিবার ১৪ জুন ২০২৫, ৩০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

গভীর সমুদ্রের রহস্য: মানবজীবনের এক অজানা জগত

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত: ১৬:৪৭, ৬ জুন ২০২৫

গভীর সমুদ্রের রহস্য: মানবজীবনের এক অজানা জগত

পৃথিবীর দুই-তৃতীয়াংশ অংশজুড়ে বিস্তৃত গভীর সমুদ্র নিয়ে মানুষের জানা খুবই সীমিত। সাম্প্রতিক গবেষণায় জানা গেছে, আমরা এখনও সমুদ্রের মাত্র ০.০০১ শতাংশ এলাকা অন্বেষণ করতে পেরেছি, যা রোড আইল্যান্ডের আকারের সমান। এই সীমিত জ্ঞানের কারণে আমাদের গ্রহের সবচেয়ে বড় বাস্তুতন্ত্র সম্পর্কে সঠিক ধারণা ও সংরক্ষণে বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি হচ্ছে।

গভীর সমুদ্র শুধুমাত্র বিভিন্ন প্রাণীর আবাসস্থল নয়, এটি জলবায়ু নিয়ন্ত্রণ ও অক্সিজেন উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সমুদ্রপৃষ্ঠের ফাইটোপ্ল্যাঙ্কটন বিশ্বের প্রায় ৮০ শতাংশ অক্সিজেন উৎপাদন করে থাকলেও, তারা গভীর সমুদ্রস্রোত থেকে পুষ্টি সংগ্রহ করে।

সমুদ্র আমাদের খাদ্য সরবরাহ, কর্মসংস্থান ও চিকিৎসা ক্ষেত্রে বিপুল অবদান রাখছে। প্রতিবছর ২০ কোটি টন সামুদ্রিক খাবার পাওয়া যায় এবং প্রায় ৬ কোটি মানুষ এই খাতে কর্মরত। সামুদ্রিক জীবের থেকে পাওয়া যৌগ বিভিন্ন গুরুতর রোগের চিকিৎসায় সাহায্য করছে। কিন্তু মানুষের ক্রিয়াকলাপ ও জলবায়ু পরিবর্তন গভীর সমুদ্রের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। গবেষকরা সতর্ক করে জানাচ্ছেন, দূষণ, তাপমাত্রার বৃদ্ধি এবং অক্সিজেনের হ্রাসের ফলে সমুদ্রের বাস্তুতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, যা সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য ও উৎপাদনশীলতাকে প্রভাবিত করছে। তাই গভীর সমুদ্রের গূঢ় তথ্য বোঝা ও সংরক্ষণ অত্যন্ত জরুরি বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।