
জিলহজ মাসের নবম দিন, অর্থাৎ আরাফার দিন রোজা রাখা খুবই মর্যাদাপূর্ণ এবং গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। নবী মুহাম্মদ (সা.) সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিশেষভাবে এদিনের রোজার ফজিলত বর্ণনা করেছেন। হাদিসে এসেছে, আরাফার দিন রোজা রাখলে আগের বছরের এবং পরের বছরের দুই বছরের গুনাহ মাফ হয়ে যায়।
আবু কাতাদাহ আল-আনসারি (রা.) থেকে বর্ণিত এক দীর্ঘ হাদিসে নবী (সা.) বিভিন্ন ধরনের রোজার বিষয়েও কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, সম্পূর্ণ বছর রোজা রাখা সম্ভব নয়, তবে প্রতি মাসে তিন দিন রোজা রাখা এবং রমজান মাসের রোজা রাখা সারা বছর রোজার সমতুল্য।
আরাফার দিন রোজা বিশেষ মর্যাদা পায় কারণ এটি আগের ও পরের বছরের গুনাহ মুছে দেয়। পাশাপাশি আশুরার রোজা পূর্ব বছরের গুনাহ মাফেরও একটি মাধ্যম। নবী (সা.) আরও উল্লেখ করেছেন, প্রতি সোমবার রোজা রাখা তার জন্ম ও নবুয়াত লাভের স্মরণ, এবং একদিন রোজা রাখা ও একদিন ইফতার করা তাঁর ভাই হজরত দাউদের (আ.) রোজার নিয়ম।
এই পবিত্র দিনের রোজার মাধ্যমে মানুষ নিজেদের আত্মা পরিশুদ্ধ করতে এবং আল্লাহর কাছ থেকে ক্ষমা প্রার্থনা করতে পারে, যা সৎ ও ধার্মিক জীবনের পথে এক অনন্য সুযোগ হিসেবে বিবেচিত।